দিল্লিতে আত্মঘাতী হামলা চালানো জঙ্গির প্রথম ছবি প্রকাশ্যে, জানুন কে এই উমর মহম্মদ!

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনায় নয়া মোড়! সোমবার সন্ধ্যায় যে সাদা রঙের i20 গাড়িটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এবার তার মালিক অর্থাৎ জম্মু ও কাশ্মীরের চিকিৎসক উমর মহম্মদের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এল। NDTV র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় থাকা উমর আসলে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। এদিকে তাঁর কারসাজিতেই নড়ে গিয়েছে গোটা দিল্লি! ঝড়েছে একাধিক প্রাণ।

চিনে নিন দিল্লি বিস্ফোরণ কান্ডের আত্মঘাতী উমরকে

জাতীয় তদন্তকারীদের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন উমর। 1989 সালের 24 ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জন্ম নিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই উমরের সাথে বেশ কয়েকজন জঙ্গির যোগ ছিল। সোমবারই। উমরের সহযোগী সন্দেহে আদিল আহমদ রাঠার এবং মুজাম্মিল শাকিল নামক দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জম্মু-কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশ।

কোন কারণে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটালেন উমর?

জাতীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের তদন্তে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের হাতে দুই সহযোগী গ্রেফতারের পরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উমর। এরপরই নাকি তিনি ফরিদাবাদ থেকে চম্পট দেন। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই সহযোগী গ্রেফতার হওয়ায় একেবারে আতঙ্কিত হয়েই শেষ পর্যন্ত দিল্লির লালকেল্লা সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান জম্মু ও কাশ্মীরের সন্দেহভাজন চিকিৎসক।

একাধিক সূত্র বলছে, উমর এবং তার সহযোগীরা অ্যামোনিয়া নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল ব্যবহার করে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতেন। গাড়ির ভেতরে ডিটোনেটর বসিয়ে দিয়ে ভিড় বা জনবহুল এলাকায় পৌঁছে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে দুই সহযোগী আটক হওয়ার পর সবকিছু ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে নাকি শেষ পর্যন্ত দিল্লির বুকে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উমর মহম্মদ।

অবশ্যই পড়ুন: বসে খাওয়া থেকে সই করা জার্সি, সেলফি! মেসির কাছাকাছি যেতে কত খরচ জেনে নিন

উল্লেখ্য, তদন্তকারীদের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহম্মদ সলমান নামক এক ব্যক্তি বিস্ফোরণে জড়িত হান্ডাই i20 গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন নাদিম নামক এক ব্যক্তির কাছে। পরে তিনি সেটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ডিলার রয়েল কার জোনের কাছে বিক্রি করেন। সেখান থেকে গাড়িটি তারিকের হাত ঘুরে উমরের কাছে আসে। সূত্রের খবর, ওই বিস্ফোরণে হাত ছিল তারিকেরও। তাই তাঁকে এবং আমির নামক এক সন্দেহভাজনকে জেরা করছে পুলিশ।

Leave a Comment