প্রীতি পোদ্দার, শ্রীনগর: দিল্লি বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক বিস্ফোরণ! এবার ঘটনাস্থল কাশ্মীর (Blast At Jammu Kashmir)। তবে এই বিস্ফোরণ এলাকা জুড়ে হয়নি, হয়েছিল শুধুমাত্র নওগাম পুলিশ স্টেশনে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের বিল্ডিংগুলিও কেঁপে উঠেছিল। ভয়ঙ্কর এই অগ্নিকাণ্ডে থানা থেকে আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়া ক্রমাগত বের হতে দেখা যায়। শেষ আপডেট অনুযায়ী কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ৩০ জন। তবে মৃতের এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দিল্লির পর কাশ্মীরে বিস্ফোরণ
পুলিশ সূত্রের খবর, দিল্লির বিস্ফোরণের তদন্তে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। আর সেই বিস্ফোরকগুলি এনে রাখা হয়েছিল নওগাম পুলিশ স্টেশনে, কারণ এই থানাতেই প্রথম FIR দায়ের হয়েছিল। এদিকে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে থানায় সেই বিস্ফোরকগুলি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি বিশেষ দল। আর তখনই ঘটে বড় বিপদ। বিস্ফোরণের জেরে আতঙ্কে চারদিক ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় থানার ভিতরেই। আশঙ্কাজনক ভাবে আহত পুলিশকর্মীদের দ্রুত সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭, দেহগুলি শ্রীনগরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে রাখা হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদীদের হামলা পুলিশ স্টেশনে!
বিস্ফোরণের খবর পেয়েই আরও পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স ছুটে আসে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, থানার অন্দরভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বিস্ফোরক সামগ্রী এবং ভেঙে পড়েছে দেওয়ালের অংশ। বিস্ফোরণের পরই গোটা চত্বর সিল করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, থানায় বিস্ফোরণের তীব্রতাও এতটাই বেশি ছিল যে ৩০০ ফুট দূরে ছিটকে গিয়েছে দেহাংশ। তবে এই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদীদের হামলা হিসেবেও অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন PAFF দায় স্বীকার করেছে। তবে পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। আনা হয়েছে স্নিফার ডগ। তবে এও অনুমান করা হচ্ছে যে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সিল যখন খোলা হচ্ছিল, সেখান থেকে কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা তবে সবটাই তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এনুমারেশন ফর্মের সঙ্গে BLO-কে কী কী দিতে হবে? বড় আপডেট কমিশনের
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ফরিদাবাদে সকালে যে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি আসলে ডঃ মুজাম্মিল শাকিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল। আর তার সঙ্গে ডঃ শাহিন শাহিদ ও ডঃ উমর নবির যোগাযোগ ছিল বেশ তীব্র। এরাও আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজেই কর্মরত ছিল। অন্যদিকে ফরিদাবাদ মডিউলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চিকিৎসক মুজফ্ফর রাথর এখনও অধরা। তাই তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।