দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নয়া ক্লু! প্রকাশ্যে জঙ্গির পরিচয়

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সময়টা ছিল সোমবার সন্ধ্যা 6টা 52 মিনিট। হঠাৎ কেঁপে উঠলো রাজধানী! দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছেন 10 জনেরও বেশি, আহত বহু। ইতিমধ্যেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার কাঁধে নিয়েছে NIA। আর তারপরই তদন্ত প্রক্রিয়ায় উঠে এলো এক গুরুত্বপূর্ণ ক্লু। যা হয়ে উঠতে পারে গোটা ঘটনার বড় যোগসূত্র। বিস্ফোরণের কিছু সময় আগে তোলা একটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাতে সাদা রঙের একটি i20 গাড়িতে চালকের আসনে মাস্ক পরে এক ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জঙ্গি আসলে মহম্মদ উমর।

গাড়িটির মালিক আসলে কে?

হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিস্ফোরণের কিছু সময় আগে তোলা সিসিটিভি ফুটেছে যে সাদা রঙের হান্ডাই i20 গাড়িটি দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তার আসল মালিক আসলে মহম্মদ সলমান নামক এক ব্যক্তি। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই গাড়িটি তিনি বিক্রি করেছিলেন নাদিমের কাছে। পরবর্তীতে তিনি ওই ফোর হুইলারটিকে একটি সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির ডিলার রয়েল কার জনের কাছে বিক্রি করেছিলেন। পরে সেখান থেকে গাড়িটি তারিকের হাত ঘুরে উমরের কাছে আসে। ন্যায্য দাম দিয়ে ওই গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি।

ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে একেবারে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, ব্যস্ত রাস্তার মাঝেই যানজট এড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ওই সাদা i20 গাড়িটি। ফুটেজ মারফত খবর, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কালো মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল তিনি মহম্মদ উমর। ইনি ফরিদাবাদের একদিন পলাতক জঙ্গি। তা থেকেই সন্দেহ বেড়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর সেই থেকেই এই ঘটনাটি জঙ্গি হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে নানা মহলে।

অবশ্যই পড়ুন: ৮৯-এ প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র

তদন্তকারীদের দাবি, ওই হান্ডাই i20 গাড়িটিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ ছিল। পরবর্তীতে সেটি লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের 1 নম্বর গেটের কাছে আসতেই বিস্ফোরিত হয়। অনুমান, একেবারে ইচ্ছে করেই ওই বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছিলেন গাড়ির চালক। বিস্ফোরণ ঘটার আগেই ওই এলাকা থেকে চম্পট দেন তিনি। গোয়েন্দাদের একটা বড় অংশের মতে, এই হামলা একপ্রকার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা ধাঁচের একটি হামলা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তদন্তকারীরা বিস্ফোরণের ঘটনায় তারিকের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে তিনি এই বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতোই এবার ওই দুই পলাতকের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত। এখন দেখার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতিপথ ঠিক কোন দিকে মোড় নেয়!

Leave a Comment