সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দিল্লি এনসিআর-এ এবার বিরাট নাশকতা চক্রের হদিশ পেল পুলিশ! মাত্র দু’দিনেই গ্রেফতার হয়েছে পাঁচ সন্দেহভোজন যুবক (Terrorist Arrested)। এমনকি এদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি সংযোগ রয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে আইইডি, বিস্ফোরক এবং ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ।
বুধবার থেকেই শুরু অভিযান
সূত্রের খবর, বুধবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল প্রথমে রাজধানী থেকে অফতাব এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে আশরাফ দানিশ নামের দুই সন্দেহভোজনকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের কাছ থেকে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসে যে, তাঁরা একা এইসব কাজ করছে না, বরং একটি নেটওয়ার্কের অংশমাত্র। সেই সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সরাসরি মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা, এই তিন জায়গা থেকে আরও তিন সন্দেহভোজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জঙ্গি নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস
ওই তদন্তে উঠে এসেছে, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে আশরাফ দানিশ ছিল মূল মাথা। তাঁর সরাসরি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে হাত ছিল। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই চলছিল এই যোগাযোগ ও নির্দেশ আদানপ্রদান। এমনকি তাঁরা যে শুধুমাত্র নিজেরা সক্রিয় ছিল এমনটা নয়, বরং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের যুব সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে জঙ্গি কার্যকলাপে লিপ্ত করত। এমনকি নতুন সদস্য সংগ্রহের দায়িত্বও তাঁদের কাঁধে ছিল।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টায় আলিপুর চিড়িয়াখানায় মৃত্যু ২ বাঘিনীর! কী কারণে? চলছে তদন্ত
প্রাথমিক জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, দিল্লি এবং এনসিআর ছাড়াও দেশের একাধিক রাজ্যে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আইইডি এবং বিস্ফোরকই আশঙ্কার প্রমাণ দিয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই দলটি আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা AQIS মডিউলের সঙ্গে যুক্ত। ফলত, দিল্লি ও এনসিআর-এ নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতে চলছে জোর তল্লাশি।