প্রীতি পোদ্দার, উত্তর দিনাজপুর: গত সোমবার, দিল্লির লালকেল্লার কাছে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Delhi Blast Case) হয়েছিল সেই আতঙ্ক এখনও দগদগ করছে গোটা ভারতে। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA। তবে এবার সেই তদন্ত থেকে বেরিয়ে এল এক চাঞ্চল্যকর মোড়। বাংলার উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত এক মেডিক্যাল ছাত্রকে। নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি এলাকা জুড়ে।
বঙ্গে আটক ডাক্তারি ছাত্র!
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল নিশার আলম নামে এক মেডিক্যাল ছাত্রকে। ধৃত যুবক হরিয়ানার আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএসের ছাত্র। নিশারের স্থায়ী ঠিকানা পাঞ্জাবের লুধিয়ানা হলেও তাঁদের পৈতৃক বাড়ি ডালখোলা থানার কোনাল গ্রামে। কয়েক দিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে মা ও বোনকে নিয়ে কোনালে এসেছিলেন তিনি। আর সেই সময়ই আচমকা নাম জড়িয়ে গেল দিল্লির বিস্ফোরণ তদন্তে। জানা গিয়েছে দিল্লির বিস্ফোরণের পর NIA প্রথমে যোগাযোগ করে নিশারের বাবা তৌহিদ আলমের সঙ্গে। তার পরেই জানা যায়, নিশার বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সূর্যাপুরের দিকে অভিযান শুরু হয়। গ্রেফতার করা হয় পরেরদিন সকালে।
আতঙ্কিত গোটা পরিবার
বাড়ির ছেলের গ্রেফতারিতে হতবাক ধৃত নিশার আলমের পরিবার। তাঁদের দাবি, নিশার কোনও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে তারা কখনও শোনেনি। তারা আশা করছে, তদন্তের মাধ্যমে সত্য সামনে আসবে। নিশারের কাকা আবুল কাশেম বলেন, “ভাইপোকে আমরা খুবই শান্ত ও ভদ্র ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে মাথা ঘামায় না। কিন্তু এই কাজে যে কীভাবে জড়িয়ে গেল কে জানে?” গ্রেফতারির ঘটনায় কোনাল গ্রামে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অন্যদিকে NIA-র তদন্তকারীরা এই বিষয়ে আপাতত চুপ। কী কারণে নিশারের নাম তদন্তে উঠে এল এই নিয়ে এখনও খোলসা করেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন: দিল্লির পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে! মৃত ৭, আহত ৩০-র বেশি
উল্লেখ্য, দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে যখন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে, সেই সময় ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলি নিয়ে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি বিশেষ দল পরীক্ষা করতে গিয়ে কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে ঘটে যায় ভয়ংকর বিস্ফোরণ। এই ঘটনার জেরে আহত একাধিক, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭। বিস্ফোরণের পরই গোটা চত্বর সিল করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, থানায় বিস্ফোরণের তীব্রতাও এতটাই বেশি ছিল যে ৩০০ ফুট দূরে নাকি ছিটকে গিয়েছে দেহাংশ।