সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গত বুধবার দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তবে ঠিক ওইদিনই কোচবিহারের দিনহাটায় তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA Raid in Cooch Behar)। জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ওই গ্রামে তিন সদস্যের দল হানা দিয়েছিল। কিন্তু কোন সূত্রে চলল এই তল্লাশি অভিযান?
কোচবিহারে এনআইএ-র তদন্ত
সূত্র অনুযায়ী খবর, এদিন কোচবিহারে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের গোবরাছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দিনা গ্রামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছিল। সূত্রের খবর, ২০০৩ সালের একটি মামলার সূত্র ধরেই তারা আরিফ হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তবে জানা যাচ্ছে, আরিফের শ্বশুরবাড়ি এই দিন তল্লাশি করেছে তারা। আর অভিযানের সময় বাড়িতে তার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রী এবং শ্যালক উপস্থিত ছিলেন।
আরিফের শাশুড়ি সায়রা বিবি বলেছেন, ৫ বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে আরিফের বিয়ে হয়েছিল। আরিফকে বাড়ির পিছন দিক থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছি। ও বাংলাদেশের নাগরিক। এমনকি তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, তদন্তকারীদের সমস্ত ডকুমেন্ট ও ব্যাঙ্কের পাসবই দেখাতে হয়েছে। চার ঘন্টা ধরেই তারা তল্লাশি করেছে। আরিফের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের পুরনো একটি কেস রয়েছে। নয়রাহাট বাজারে ওর কাপড়ের দোকান ছিল। তার আগে ও ঠিকাদারির কাজে যুক্ত ছিল। এমনকি একটা মোবাইল সহ দুটি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক কাজে যুক্ত থাকার ও সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হওয়ার ইতিহাস গড়ার পথে মৈথিলী ঠাকুর
মুর্শিদাবাদেও হানা দিয়েছিল এনআইএ-র দল
বলাবাহুল্য, বুধবার দিল্লি বিস্ফোরণের সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদে মইনুল হাসান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। জানা যায়, বিস্ফোরণ কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজনদের থেকে একটি ফোন নম্বর উদ্ধার করা হয়েছিল। আর সেই নম্বরের সূত্র ধরেই তারা বাংলায় আসে। এমনকি দীর্ঘক্ষণ ধরে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। আর সেখানে জানা যায় যে, মইনুল পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। দিল্লি থেকে শুরু করে মুম্বাই, চেন্নাই একাধিক শহরে তিনি কাজ করতেন। তার সঙ্গে কিছু সন্দেহজন ব্যক্তিও যুক্ত রয়েছে।