বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশে হিন্দু হত্যা (Bangladesh Hindu Murder) এখন মামুলি বিষয়। দীপু দাসের পর এবার আরেক সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, বুধবার বাংলাদেশের রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, যুবকের নাম অমৃত মন্ডল। মূলত চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই যুবককে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলেই খবর।
বেআইনিভাবে টাকা তোলার কারণে মৃত্যু?
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত 11 টা নাগাদ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হোসেনডাঙ্গা পুরাতন বাজারে বেশ কয়েকজন যুবক ঘিরে ধরে অমৃত ওরফে সম্রাটকে পিটিয়ে খুন করে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই খবর নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মইনুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে খবর, অমৃত মন্ডল আসলে পাংশা উপজেলার পরিচিত ব্যক্তি অক্ষয় মন্ডলের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি অর্থাৎ টাকা তোলার অভিযোগ ছিল। শুধু তাই নয়, এই অমৃতর এক সহযোগীকে ইতিমধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে ওই ব্যক্তির নাম সেলিম শেখ। তাঁর বাসস্থান পাংশার বসা কুষ্টিয়া গ্রামে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। এদিকে, হিন্দু যুবককে হত্যার ঘটনায় অনেকেই বলছেন, চাঁদাবাজির নাম করে বেছে বেছে সংখ্যালঘু হিন্দু যুবকদের খুন করছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী মানুষজন।
অবশ্যই পড়ুন: ২০২৫-এ সোনার থেকেও বেশি রিটার্ন দিয়েছে এই ৫ স্টক
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের ভালুকার হাবিববাড়ি ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় কারখানার কর্মী দীপু দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন একদল কট্টরপন্থী। যেই ঘটনা ইতিমধ্যেই ছি ছি পড়ে গিয়েছে নানা মহলে। ওপারে জলজ্যান্ত একজন হিন্দুকে সকলের সামনে পুড়িয়ে মারায় প্রতিবাদের আগুন উঠেছে ভারতেও। তাতে অবশ্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন একটুও কমেনি।