সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ পাহাড়ে ঘুরতে ভালোবাসেন অথচ সিটং যাননি, এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সিটং হল দার্জিলিং এর লুকানো সৌন্দর্যে ভরপুর এক জায়গা, যেখানে গেলে আপনার শরীর ও মন জুড়িয়ে যাবে। বাংলার অরেঞ্জ ভিলেজ বলা হয় সিটং-কে। যদি আপনি ভিড় থেকে দূরে, পাহাড়ের শান্তি এবং সবুজে কিছু নীরব সময় কাটাতে চান – তাহলে সিটং আপনার জন্য আদর্শ জায়গা। কিন্তু আপনি কি জানেন যে দক্ষিণবঙ্গেই এক টুকরো সিটং রয়েছে যেখানে আপনি অনেক কমলালেবুর গাছ দেখতে পারবেন এবং তা পেরে খেতে পারবেন? হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।
ঘুরে আসুন দক্ষিণবঙ্গের কমলালেবুর দেশ থেকে
এই শীতের সময়ে সিটং-এর বাগানে বাগানে দেখতে পাওয়া যায় কমলালেবু। আপনি টুক করে তা পেরে খেতে পারেন। কিন্তু এই জায়গা যাওয়া আবার মুখের কথা নয়। দার্জিলিংয়ের কাছে একটি ছোট্ট গ্রাম, যা তার কমলালেবু, কুয়াশায় ঢাকা পাহাড়, সবুজ জঙ্গল এবং প্রাচীন চার্চের জন্য পরিচিত। শীতের মরসুমে কমলালেবু ভর্তি গাছের মধ্যে ঘুরে বেড়ানো এক অনন্য অভিজ্ঞতা। দার্জিলিং থেকে মাত্র ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত এই স্থানটি এখনও মূলধারার পর্যটন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। ফলে দার্জিলিং থেকে বা শিলিগুড়ি থেকে এই জায়গায় যাওয়া যেমন সময়সাপেক্ষ তেমনই আবার খরচসাপেক্ষও বটে। তবে চিন্তা নেই, আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের এমন এক জায়গার সন্ধান দেব যেখানে আপনি অনেক কম পয়সায় পৌঁছে যেতে পারবেন, সেইসঙ্গে কমলালেবু ও নানা ফল হাতের নাগালে পাবেন।
কীভাবে যাবেন?
যেখানে তাকাবেন চোখে শুধু কমলালেবুর গাছ (Orange Garden) পড়বে। এছাড়া কাঁটাবিহীন বেল গাছ, মিষ্টি তেঁতুল, সবেদা বাগান ও গোলাপি কাঁঠালের গাছ দেখার সুযোগ পাবেন। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন এরকম বাগান কোথায় আছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এর জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে হাবড়ার অশোকনগর রোড রেলস্টেশনে। এরপর এখান থেকে পারুলিয়ার অটো ধরে নামতে হবে সেনডাঙ্গায়। সেখানে আপনি যাকে জিজ্ঞাসা করবেন সেই বলে দেবে সুধীর নার্সারির ঠিকানা।
আরও পড়ুনঃ জানুয়ারি থেকেই নিয়মে বদল, কোন রেশন কার্ডে কত সামগ্রী মিলবে জানুন
এই সুধীর নার্সারিতেই আপনি ঢুকলে মনে হবে যেন এক টুকরো সিটং এখানে বিরাজ করছে। এই বাগানে কি নেই। মাথাপিছু ১০ টাকা খরচ করে কিন্তু আপনাকে এই সুধীর নার্সারিতে ঢুকতে হবে। নতুন বছর পড়তে হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ অবধি এই বাগান খোলা থাকবে। খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। তাহলে আর দেরি না করে এই শীতে আপনিও একদিনের ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানের আওতায় এই জায়গায় আসতে পারেন।