সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ আর সিলিন্ডার নয়, এবার বাড়ি বাড়িতে গ্যাস লাইনের (Pipeline Gas) মাধ্যমে পৌঁছে যাবে গ্যাস। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। আর সেই প্রতি মাসে গ্যাস কোম্পানিকে ফোন করে সিলিন্ডার বুক করার দিন শেষ হতে চলেছে বলে খবর। দ্রুত গতিতে চলছে গ্যাসের পাইপ বসানোর কাজ। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে এই গতিতে কাজ চললে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সকলের বাড়িতে এই পরিষেবা মিলতে শুরু করবে। আর এই অসাধ্য কাজকে বাস্তবায়ন রূপ দিতে চলেছে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থা গেইল (GAIL)। লক্ষ্য কয়েক মাসের মধ্যে কলকাতা এবং বিভিন্ন জেলায় পাইপলাইনের মধ্যে দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা।
পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি যাবে গ্যাস
ইতিমধ্যে বেঙ্গল গ্যাস থেকে শুরু করে আদানি গ্যাস, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়াম এই কাজ করার বরাত পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে বেঙ্গল গ্যাসের কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসী। দুর্গাপুজোর আগেই কল্যাণীতে বাড়ি বাড়ি এই গ্যাস পৌঁছে যাবে। মূলত পুর এলাকার অধীনে থাকা বাড়িগুলিতে আগে প্রাকৃতিক গ্যাসের লাইন এবং সেই লাইনের মধ্যে দিয়ে গ্যাস পরিষেবা শুরু হবে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কল্যাণীতে মাদার গ্যাস স্টেশন তৈরি করা হয়েছ। এখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গ্যাস পৌঁছে যাবে। একটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সিলিন্ডারের থেকে এটি আদৌ বেশি সুরক্ষিত তো? উত্তর হল হ্যাঁ। বিভিন্ন গ্যাস সংস্থার কর্তাদের দাবি, এটি সিলিন্ডারের থেকে অনেক বেশি নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং পরিবেশবান্ধব।
আরও পড়ুনঃ ভেঙেছে চোয়াল, আঘাত মেরুদণ্ডে! শ্রীনগর বিমানবন্দরে স্পাইসজেটের কর্মীদের উপর দাদাগিরি সেনা অফিসারের
এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে খরচ
সবথেকে বড় কথা, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও অন্যান্য জায়গা যেমন উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভা, নৈহাটি সহ বেশকিছু জায়গায় এই পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই গ্যাস হবে অনেক পকেট ফ্রেন্ডলি। প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় গ্রাহকদের জ্বালানি খরচ কমবে। এছাড়া, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহে মিটার-ভিত্তিক বিলিং ব্যবস্থা থাকবে, যা গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ এবং সুবিধাজনক। সিএনজি এবং পিএনজি জ্বালানি যা এতদিন শিল্প ক্ষেত্রে কিংবা গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতো এখন তা ব্যবহার করা যাবে রান্নার জ্বালানি হিসেবেও।