প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের গোষ্ঠী কোন্দল দুর্গাপুরে! বহিরাগতদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দুর্গাপুরের বি জোনের দেশবন্ধু ভবনে। বচসা থেকে শুরু হয় ভয়ংকর হাতাহাতি পরিস্থিতি, পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করতেই বাতিল হয় গোটা বৈঠক।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল, শুক্রবার, দুর্গাপুরের বি জোনের দেশবন্ধু ভবনে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বৈঠক বসেছিল। সেখানে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন পরিচালিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মজদুর ইউনিয়নের সভায় বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কোর কমিটির সদস্য এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতার নেতৃত্বে বোনাস নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে সেই সময় অনেক বহিরাগত সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই বহিরাগতদের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার দাবি জানায় কারখানার স্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের। আর তাতেই হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বৈঠক ঘিরে
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন পরিচালিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মজদুর ইউনিয়নের সভায় বৈঠক চলাকালীন স্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করেন বৈঠকের আয়োজকরা। এরপরেই তাঁর দাবি না মেনে নেওয়ায় শুরু হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বচসা থেকে হাতাহাতি,ও কোনোটাই বাদ যায় না, রীতিমত উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুর্গাপুরের বি-জোনের দেশবন্ধু ভবনে। শেষ পর্যন্ত বৈঠক সম্পূর্ণ ভেস্তে যায়। যদিও এই ঘটনা নতুন নয়। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এর আগে একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। আর তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই কাউন্সিলিং শুরু জয়েন্টের, রেজাল্ট বেরোতেই WBJEE-র ভর্তি নিয়ে আপডেট
কিছুদিন আগে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। সেই সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছিল প্রায় সব বিভাগই। শ্রমিকদের অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকে তাদের মজুরি বৃদ্ধি হয়নি। হাসপাতালে প্রায় ৩০০ অস্থায়ী কর্মী কাজ করেন। একাধিকবার দাবি জানানো সত্ত্বেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌঁছায় সিআইএসএফ বাহিনী।