সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ দুর্গাপুরে স্কুলের শৌচালয়ে ঢুকে ধূমপান করছিল কয়েকজন পড়ুয়া। হাতেনাতে ধরে ফেলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে এরপরে যে ঘটনা ঘটে সেটার জন্য কেউই হয়তো প্রস্তুত ছিলেন না। অভিযুক্ত পড়ুয়ারা বাবা মা এসে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ পড়ুয়াদের পরিবারের বিরুদ্ধে
রীতিমতো স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের সরকারি স্কুল নেপালি পাড়া হিন্দি হাইস্কুলে (Nepali Para Hindi High School)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এক কথায় পড়ুয়ার পরিবারের হুমকির জেরে ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুনঃ মাঠে ডিম পেড়েছে পাখি, ২৮ দিনের জন্য খেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ
এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় কোক ওভেন থানায় অভিযোগ জানিয়েও নাকি লাভের লাভ কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ কলিমুল হক। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, ‘লাস্ট পিরিয়ড চলছিল। প্রায় ৪টের দিকে কিছু ছাত্র লুকিয়ে স্কুলের টয়লেটে সিগারেট খাচ্ছিল। এরপর আমাদের কিছু শিক্ষক তাঁদের ধরে ফেলে এবং আমাকে এসে জানায়। একজন পড়ুয়ার পকেট থেকে দেশলাই পাওয়া যায়। ছেলেদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল সিগারেটের। এরপর শিক্ষক শিক্ষিকা, আমি ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের জানাই এবং তাঁদের দেখা করতে বলি।’
ভয়ে কাঁটা শিক্ষক-শিক্ষিকারা
প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ‘পরের দিন দুজন পড়ুয়ার অভিভাবক আসেন। একজন পড়ুয়ার পরিবার স্কুলের সামনেই থাকে। তাঁরা জানান যে ‘হ্যাঁ ছেলে ভুল করেছে। আগামী দিনে এমন কিছু করবে না ক্ষমা করে দিন।’ তবে অপর একজন পড়ুয়ার বাবা-কাকা বিশ্বাস করেন না ঘটনাটি। আমরা বলি যে আমাদের কাছে সব প্রমাণ আছেন। কিন্তু তাঁরা জানান যে বিষয়টি তাঁরা মানছেন না। আমাদের লিখিত দিয়ে তাঁরা তাঁদের বাচ্চার রিপোর্ট টেস্ট করাবেন। আমাদের বলতে থাকে যে ফালতু শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে স্কুল। কেউ নাকি পড়াশোনা করায় না। এরপর গেটের গ্রিল ধরে ধাক্কাধাক্কি করছে, হুমকি দিচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা স্কুলের মধ্যে তাণ্ডব চালায় ওই পড়ুয়ার পরিবারের লোকজন। এরপর হুমকি দেয় যে স্কুলের বাইরে যদি কাউকে দেখে তাহলে খাসির মতো কেটে দেবে।’ যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে ওই পড়ুয়ার পরিবার। পাল্টা স্কুলের এক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন তাঁরা।