বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বৃহস্পতিবার, বিজয়া দশমীর দিন এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো মহারাষ্ট্রের নাগপুর (Nagpur Case)। জানা যায়, গতকাল নাগপুরের একটি দূর্গামন্ডপে ঢুকে, দেবী দুর্গার প্রতিমার সাথে অভব্য আচরণ করেছিল এক যুবক। পরবর্তীতে মিছিল করে ওই যুবকের হাত বেঁধে তাকে টানতে টানতে গোটা রাস্তায় ঘোরানো হয়। পুরুষ নন, এই কাজটি করেছিলেন মহিলা পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু ঠিক কী করেছিলেন ওই অভিযুক্ত?
এক নজরে গোটা ঘটনা
জানা গিয়েছে, নবরাত্রি উৎসবের মাঝে বৃহস্পতিবার নাগপুরের একটি দুর্গা মন্ডপে ঢুকে দুর্গা প্রতিমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন অভিযুক্ত যুবক। যে ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপরই ওই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক দেবী দুর্গার প্রতিমার সাথে একেবারে অভব্য আচরণ করেছিল। এ বিষয়ে তারা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের দাবি, ‘দেবী দুর্গার প্রতিমার সাথে নোংরামো মেনে নেওয়া যায় না! ওই যুবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের তরফে অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন মহারাষ্ট্রের দুর্গা মার্শাল অর্থাৎ নারী পুলিশ দল। এরপর ওই অভিযুক্তর হাত বেঁধে নাগপুরের মানবতা নগর এলাকায় চক্কর কাটানো হয়। এক পুলিশ কর্মীর দাবি, অভিযুক্তের নাম সুরাজ। এর আগে নাগপুরের বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা যায়, ওই যুবকের বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: ‘ওদের ভাবভঙ্গি ট্রফি দেওয়া মতো ছিল না, এমন আগে দেখিনি!’ মুখ খুললেন সূর্যকুমার
পুলিশের দাবি, সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখেই নাগপুরের পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র কুমার সিঙ্গেলের নির্দেশ অনুযায়ী, আমাদের দুর্গা বাহিনী ওই অভিযুক্তকে আটক করার পর উচিত শিক্ষা দিয়েছে! এদিন পুলিশের তরফে অভিযুক্তর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়। তাদের সামিল হয়েছিলেন স্থানীয় মানুষজন। যেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখার পর, ওই অভিযুক্তকে তুলোধোনা করেছেন নেট নাগরিকরা।