দুর্ধর্ষ ফুটবল খেলে সুপার কাপের ফাইনালে, পাঞ্জাবকে তুক্কিতে হারাল ইস্টবেঙ্গল

East Bengal Vs Punjab FC Punjab lost to East Bengal

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেষবারের মতো প্রতিবেশী মোহনবাগানকে আটকে দিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার সেই মঞ্চেই পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে (East Bengal Vs Punjab FC) একেবারে সোজাসাপ্টা ফুটবল খেলে ক্ষমতা বোঝালো লাল হলুদ। দীর্ঘ একটা মাস প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে দূরে থেকেও বিন্দু বিন্দু দিয়ে সিন্ধু করে দেখাল মশাল ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার, অস্কার ব্রুজোর ছেলেদের কঠিন আক্রমণের সামনে চোখে শুধুই সর্ষের ফুল দেখেছে পাঞ্জাব এফসি। যে মাঠে খেলা নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল, গোয়ার সেই ময়দানকেই গোছানো ফুটবল উপহার দিয়ে পাঞ্জাব বধ করল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষে ফলাফল পাঞ্জাব 1, লাল হলুদ 3।

ঝকঝকে ফুটবল খেলে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

বৃহস্পতিবার ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর দাপট ধরে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গলের ছেলেরা। লাল হলুদ কেন পাঞ্জাবের থেকে এগিয়ে, ম্যাচের প্রথম 12 মিনিটেই সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিল মশাল সেনা। এদিন খেলা 12 মিনিটে পৌঁছতেই দলের জন্য জালে বল জড়ান মহম্মদ রশিদ। প্রথম গোল পাওয়ার পর উজ্জীবিত হয়ে ওঠে গোটা ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেড। সেখান থেকেই তেজ বাড়ে আক্রমণের।

প্রথম গোল দেওয়ার পর প্রতিপক্ষকে আরও কিছু গোলের মালা পরানোর জন্য একেবারে উঠে পড়ে লাগে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ যখন 33 মিনিটের মাথায় ভাগ্যক্রমে পেনাল্টি পেয়ে যায় পাঞ্জাব। আসলে বক্সের ভেতরেই হ্যান্ডবল করে ফেলেছিলেন বিপিন সিং। সেই ভুলের মাসুল দিতে হয় তাঁকে। পেনাল্টি স্পট থেকে জোরালো শট করে প্রথম গোল শোধ করে পাঞ্জাব এফসি। তবে ম্যাচের রাশ ফের নিজেদের হাতে নিতে বেশি সময় নেয়নি লাল হলুদ। পাঞ্জাবের তরফে পেনাল্টি পেতেই মাঠে দাপাদাপি শুরু করে লাল হলুদের প্লেয়াররা। ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের নজর এড়িয়ে গিয়ে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে পাঞ্জাবের জালে গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের কেবিন সিবিল।

অবশ্যই পড়ুন: নোনা জলে অক্ষত থাকবে স্টিলের পরিকাঠামো, এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা! বিরাট আবিষ্কার বাঙালির

প্রথমার্ধ সমতা নিয়ে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ছবি বদলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে পাঞ্জাব। তবে প্রতিপক্ষের সেই চেষ্টার মধ্যে দিয়েই নিজেদের জায়গা খুঁজে নেয় ইস্টবেঙ্গল। বাকি 45 মিনিটের খেলায় প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল লাল হলুদের ছেলেরা। এভাবেই ক্রমাগত আক্রমণে থেকে 71 মিনিটের খেলায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল সংখ্যা বাড়ান সল ক্রেসপো। 3 গোলে এগিয়ে যায় লাল হলুদ। এরপর ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের সমান সমান অবস্থানে আসা তো দূর বরং একটি গোলও করতে পারেনি পাঞ্জাব। তাতে সেমি ফাইনাল পকেটে নিয়ে সুপার কাপের মহামঞ্চ অর্থাৎ ফাইনালে জায়গা করে নিল মশাল সেনা।

Leave a Comment