দেড় লক্ষ টাকার iPhone 17 Pro Max মাত্র ১৫০০ টাকায়? জানুন আসল সত্যি

iPhone 17 Pro Max

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেড় লক্ষ টাকার iPhone 17 Pro Max যদি কেউ বলে 1500 টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে আপনি চমকাবেন তো? আসলে বিশ্বাস করা তো দূর, সাধারণ মানুষ আকাশ থেকে পড়বে। তবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় সম্প্রতি এমনই অবিশ্বাস্য দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা নিয়ে তুঙ্গে আলোচনা।

আসলে বিষয়টি শুরু হয়েছিল একটি ভিডিও থেকে। সম্প্রতি এক জনপ্রিয় টেক ইউটিউবার একটি ফোন আনবক্স করে। যেটিকে সবাই মিনি iPhone 17 Pro Max বলেই তকমা দিচ্ছে। দেখতে অবিকল iPhone-র মতোই, এমনকি পিছনে বিশাল ক্যামেরা মডিউল, সামনে ডায়নামিক আইল্যান্ড। সবকিছু ঠিকঠাক। তাহলে আসল রহস্য কোথায়?

কী মিলল বাক্সে?

আসলে ওই ইউটিউবার যখন ফোনটির বাক্স খোলেন, তখন তাতে একটি ফোন, একটি ল্যানিয়ার্ড, একটি ইউএসবি কেবল, একটি ট্রান্সপারেন্ট কভার এবং একটি ইউজার ম্যানুয়াল ছিল। আর বাক্সে লেখা ছিল Pro Max 17, যন পুরোপুরি অ্যাপলের নতুন ফ্লাগশিপ ফোন। তবে গল্পের টুইস্ট তো ছিল ভিতরে।

আসলে ফোনটি হাতে নেওয়ার পর প্রথম দৃষ্টিতে মনে হবে এটি বোধহয় সত্যিকারের কোনও iPhone 17 Pro Max এর ছোট সংস্করণ। তবে যখন ইউটিউবার সেটিংসে গিয়ে About Phone খোলেন, তখন দেখা যায় আসল চমক। কারণ, ফোনটি মোটেও আইফোন নয়। সেখানে নাম বদলে রাখা হয়েছে Pro Max 17, আর অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। এমনকি স্টোরেজ দেখাচ্ছে 512GB আর RAM 12GB। এরপর ফোনটির ডায়াগনস্টিক অ্যাপ খুলতেই আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে যায়। কারণ, এটি কোনও অ্যাপলের ডিভাইসই নয়। সম্পূর্ণভাবে সস্তার একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, যাকে আইফোনের ডিজাইন কপি হিসেবেই বানানো হয়েছে।

এদিকে মিনি iPhone 17 Pro Max ফোনটির পিছনে রয়েছে তিনটি ক্যামেরার মতো মডিউল। তবে কাজ করে মাত্র একটি, আর অন্য দুটি শুধুমাত্র ফাঁকা ডিজাইন বলা চলে। সেলফি ক্যামেরা থাকলেও তার গুণগত মান অত্যন্ত সাধারণ। এমনকি অ্যাপ খুললে 5 থেকে 10 সেকেন্ড ধরে ফ্রিজ হয়ে থাকে। ফলে এই ফোন দিয়ে ছবি তোলা বা চালানোও সম্ভব নয়।

আরও পড়ুনঃ শুরুতেই বেতন ১,২৩,১০০! ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরে বহু শূন্যপদে নিয়োগ

কিন্তু কাদের জন্য এই ফোন?

বলাবাহুল্য, এই সস্তার মিনি আইফোন সাধারণ ব্যবহারের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। কারণ, ধীরগতি, স্বল্প স্টোরেজ, দুর্বল ব্যাটারি আর অস্থিতিশীল সফটওয়্যারে পরিপূর্ণ এই ফোনটি। কিন্তু ছোটদের খেলার জন্য, জরুরী কল বা দ্বিতীয় ব্যাকআপ ফোন হিসেবে এই ফোনটি কাজে আসতে পারে। কারণ, দামের তুলনায় হালকা, ছোট আর অতিরিক্ত আশা না করলে সাধারণ কাজ চলে যাবে এই ফোনটি দিয়ে।

Leave a Comment