সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজকীয় সম্মান পেলেন সন্ত্রাসের দেশের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Pakistan Army Chief Asim Munir)। বিরাট সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাঁকে নিয়ে। হ্যাঁ, এবার সরাসরি চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিযুক্ত করা হল সেনাপ্রধান মুনিরকে। সেনাবাহিনী বলুন বা বায়ু সেনা কিংবা নৌ সেনা, তিন বাহিনীতেই তুখোড় পারফর্ম করার জন্য গত মাসে পাকিস্তানে এই পদ তৈরি করা হয়েছিল। আর সেই নতুন পদের মুকুট দেওয়া হল আসিম মুনিরকে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাঁকে নিয়োগের অনুরোধ করা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির কাছে। রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করায় আপাতত পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে এই সিংহাসনে বসানো হল।
চিপ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস হলেন পাক সেনাপ্রধান
বলে রাখি, ২০২২ সালে আসিম মুনিরকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। আর ২০২৪ সালে তার মেয়াদ আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করা হয়। মাত্র কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানের ইতিহাসের দ্বিতীয় বার ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় মুনিরকে। আর এবার তিনি ২০৩০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস পদ সামলাবেন বলে রিপোর্ট অনুযায়ী খবর।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বায়ূ সেনা এবং এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবরের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিলেন মুনির। তিনি রটিয়ে দিয়েছিলেন যে, ভারত নাকি গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের হামলায়। পাকিস্তানই এই যুদ্ধে পরাজয় লাভ করেছে। এরপর তাঁকে প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি করে দেন। তারপর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এমনকি সন্ত্রাসের দেশে এখন তাঁর ক্ষমতা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে অশালীন মন্তব্য করার জের, নিজের বন্ধুকেই ইট দিয়ে থেঁতলে খুন যুবকের!
রক্ষাকবচ পাবেন আসিম মুনির
জানিয়ে রাখি, গত মাসে সংসদে পাস হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, আসিম মুনির আজীবন ইউনিফর্মে থাকবেন এবং গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচও পাবেন। তবে বর্তমানে কারাবন্দি ইমরান খানের দল সমালোচনা করে বলছেন যে, এই ধরনের অধিকার এবং সুরক্ষা দেওয়া গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করে তোলা। দেশের ইতিহাসের প্রায় অর্ধেক সময় ধরেই সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। আর প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে এই ধরনের পদ প্রতিষ্ঠিত দেশের রাজনৈতিক কাঠামোরের অধঃপতন বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে তিনি এই পদ কীভাবে সামলাবেন তা সময়েই বলা যাবে। এখনই কোনও কিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।