প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সাতসকালে ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED-র অভিযান! প্রথমবার বালিপাচার কাণ্ডের (Sand Smuggling Case) তদন্তের অগ্রগতির জন্য একযোগে ঝাড়গ্রাম ও বেহালায় হানা দিল তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে মোট চার থেকে পাঁচটি টিম কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তল্লাশি চালাচ্ছে। নির্বাচনের আগে ফের আরও এক দুর্নীতি নিয়ে ED-র কাঁটাছেড়ায় বিরাট চাপে পড়ল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
ঝাড়গ্রামে হানা ED-র
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ সাতসকালে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলিনামের এক বালি ব্যবসায়ীর বিশাল তিনতলা বাড়িতে হানা দিয়েছে এনফোর্মেন্ট ডিরেক্টরেট। সুবর্ণরেখা নদীর ধারেই রয়েছে এই ব্যবসায়ীর বাড়ি। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে নাকি ওই নদী থেকেই বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছিল। আর তা বেআইনিভাবে পাচারও চলছিল বলে অভিযোগ। তাই সার্চ ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ও গাড়ি দুই জায়গায় জোর কদমে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগে নাকি শেখ জহিরুল আলি ভিলেজ পুলিশ ছিলেন। পরে সেই চাকরি ছেড়ে বালির কারবার শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাঁর বেশ সুনাম রয়েছে।
কেন এই তদন্ত অভিযান?
তবে, ED-র তল্লাশির তালিকায় ঝাড়গ্রাম ছাড়াও রয়েছে বেহালার জেমস লং সরণী। জিডি মাইনিং নামে একটি সংস্থায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই সংস্থাটি বালির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, অবৈধ বালি খনির কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সার্চ ওয়ারেন্টের কারণে ইডি সম্প্রতি মামলা দায়ের করে। আর তারপরই আজ ভোর থেকে একযোগে অভিযান শুরু হয়। এই সংস্থার আরেকটি অফিস রয়েছে বিধাননগর, সেক্টর-ফাইভে। এছাড়াও নদীয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন: বিপ্লবী শহীদ কানাইলাল দত্তের বাড়ি ভেঙে ফেলার নোটিশ চন্দননগর পুরসভার! শুরু বিতর্ক
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ রবিবার মধ্যরাতেই রাজ্যের নানা দিকে অভিযান চালাতে রওনা দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। এরপর সোমবার ভোরে প্রায় একই সময়ে প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত কোনও বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া যায়নি।