নতুন গোষ্ঠী তৈরি করে ভারতকে ফাঁদে ফেলতে চাইছে চিন! ইন্ধন যোগাচ্ছে ইউনূসের বাংলাদেশ

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিনের ইশারায় চলবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি! আপাতত সেই পরিকল্পনা (China Big Plan) নিয়েই ক্রমশ নিজের পরিধি বাড়াচ্ছে বেইজিং। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত 19 জুন চিনের কুনমিংয়ে পাকিস্তান, ও বাংলাদেশের সাথে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক করে ড্রাগন। আর সেখানেই চূড়ান্ত হয়, একেবারে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে পারস্পরিক উন্নতিতে একে অপরকে সাহায্য করবে তিন দেশই।

তবে সম্প্রতি নিজের প্ল্যানে কিছুটা বদল এনেছে চিন। জানা যাচ্ছে, সার্ক অর্থাৎ দ্য সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন গোষ্ঠীকে তুলে দিয়ে এবার পাকিস্তান, বাংলাদেশের পাশাপাশি সার্ক গোষ্ঠীতে থাকা সব দেশগুলিকে নিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রিত একটি সংগঠন তৈরি করতে চাইছে জিনপিংয়ের দেশ। আর তাতেই তলে তলে মদত দিচ্ছে ভারতের সবচেয়ে কাছের পড়শি বাংলাদেশ।

অবশ্যই পড়ুন: আদৌ বাংলাদেশে যাবে টিম ইন্ডিয়া? BCCI-র সঙ্গে কথাবার্তা নিয়ে মুখ খুলল BCB

চিনের উদ্যোগে চিন্তা বেড়েছে ভারতের

একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকা সার্ককে একেবারে তুলে দিতে চাইছে চিন। বদলে নিজের কন্ট্রোলে থাকা সংগঠনটি তৈরি করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে একত্রিত করতে চাইছে ড্রাগন। আর তাতেই একেবারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত যোগাচ্ছে বাংলাদেশ।

বলে রাখি, সার্ক অর্থাৎ দ্য সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশনের সদস্য দেশ, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিন চাইছে সার্ক গোষ্ঠীর সব দেশগুলিকে নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করে কর্তৃত্ব ফলাতে।হ্যাঁ, সেই তালিকায় নাম রয়েছে ভারতেরও! তবে চিন প্রস্তাব দিলে তাতে দিল্লি রাজি হবে কিনা, সেই বিষয়টা যথেষ্ট সংশয়ের।

যদিও বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন নিষ্ক্রিয় সার্ককে একেবারে মুছে ফেলে নিজের নিয়ন্ত্রিত একটি সংগঠন তৈরি করে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে চিন। যার অন্যতম কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার সার্ক সংগঠনের অংশ নয় বেইজিং। ফলে নিষ্ক্রিয় সার্ক সংগঠনকে পুরোপুরি ধুয়ে ফেলে নিজস্ব শক্তিশালী সংগঠন তৈরিই এখন একমাত্র লক্ষ্য ড্রাগনের। যদিও চিনের এমন পদক্ষেপ আগামীতে ভারতের জন্য যথেষ্ট চিন্তার হতে চলেছে বলেই মনে করছেন অনেকেই।

Leave a Comment