নদীর ধারে স্ত্রীর গলাকাটা দেহ, অদূরে গাছে ঝুলছে স্বামী! রোমহর্ষক ঘটনা শিলিগুড়িতে

Siliguri Murder Case

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের শিলিগুড়িতে এক হাড়হিম করা ঘটনা। নদীর ধারেই পড়ে রয়েছে মহিলার গলা কাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ, আর দূরে স্বামীর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ ঝুলছে এক গাছে (Siliguri Murder Case)। না, কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। এমনই ঘটেছে শিলিগুড়ির ভোলাপাড়া এলাকায়। যা দেখে আতঙ্কে আঁতকে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই নৃশংস ঘটনা তা নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন।

কারা ওই মৃত দম্পতি?

স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী খবর, মৃত দম্পতির নাম তপন মন্ডল এবং অনিমা মন্ডল। তারা শিলিগুড়ির ভোলাপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দ। দীর্ঘ দুই দশক যাবৎ তাদের দাম্পত্য জীবন। ঘরে দুই ছেলেও রয়েছে তাদের। এমনকি স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলে প্রত্যেকেই কোনও না কোনও কাজ করে। তপন মন্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন, আর স্ত্রী অনিমা একটি কারখানায় কাজ করতেন। কাজ শেষে নির্দিষ্ট সময়ে স্বামী-স্ত্রীর প্রতিদিন বাড়িও ফিরে আসতেন, এমনকি তাদের মধ্যে কোনওরকম ঝামেলা ছিল না বলেই স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছে।

তবে তাদের পরিবার সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যাবেলা থেকেই ওই দম্পত্তির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি মোবাইলেও কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। রবিবার সকালেই তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যাচ্ছে, শিলিগুড়ির নরেশ মোড় এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ার সাহু নদীর পাড়েই ওই মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে ছিল। আর তার প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি গাছে স্বামী তপনের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। এই হাড়হিম দৃশ্য দেখেই স্থানীয়রা দ্রুত আশিঘর থানায় খবর দেয়।

আরও পড়ুনঃ যোগীরাজ্যে খাদান ধসে প্রাণ গেল দু’জনের! আটকে থাকার আশঙ্খা বহু শ্রমিকের

পুলিশ এসে দ্রুত মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা ঘটে, তা এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে স্বামী, নাকি স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে খুন করা হয়েছে সে বিষয়ে ঘনাচ্ছে হাজারো রহস্য। তবে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসলেই জানা যেতে পারে আসল ঘটনামৃত্যুর কারণ।

Leave a Comment