নভেম্বরেই কল্যাণীর বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনে গ্যাস, জানুন আবেদন পদ্ধতি ও খরচ

PNG Gas Kalyani

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ আর ভারী ভারী গ্যাস সিলিন্ডার তোলার ঝামেলা শেষ। এবার খুব শীঘ্রই সকলের বাড়ি বাড়ি জলের লাইনের মতো পাইপলাইনের মতো গ্যাস পৌঁছে যাবে বাংলার বহু মানুষের হেঁশেলে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই নভেম্বর মাসেই এই কাজের নমুনা দেখতে পাবেন বাংলার মানুষ। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি।

নভেম্বরেই বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে গ্যাস

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কবে সকলের বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে? এর আগে জানা গিয়েছিল যে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কল্যাণী থেকে প্রথমবারের মতো কেএমডিএ এলাকায় পাইপযুক্ত প্রাকৃতিক গ্যাস (PNG Gas Kalyani) সরবরাহ শুরু হবে। তবে এখন জানা যাচ্ছে, নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এই পরিষেবা শুরু হলেও হতে পারে। আর এমনটাই জানিয়েছে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিসিএল)।

গেইল এবং রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সরবরাহ কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগ বিজিসিএল প্রাথমিকভাবে ১৭১টি বাড়িতে পিএনজি সরবরাহ শুরু করবে। প্রত্যেকের বাড়িতে গ্যাস মিটার ইনস্টল করা হয়েছে। প্রথমেই ভাগ্য খুলতে পারে কল্যাণীবাসীর। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কল্যাণী ১০০-র মতো বাড়িতে পাইপের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস পাঠানো হতে পারে। যেগুলি কল্যাণী পুরসভার অন্তর্গত ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত।

আরও পড়ুনঃ চাকরি বদলাতেই নতুন অ্যাকাউন্টে ট্র্যান্সফার হবে PF-র টাকা, ১০ কোটি কর্মীর জন্য সুখবর

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউ টাউনের ইউনিওয়ার্ল্ড এবং রোজডেল হাউজিং কমপ্লেক্সে পিএনজি সরবরাহ শুরু করে পানাগড় থেকে ক্যাসকেডে গ্যাস বহন করে এবং তারপর রান্নাঘরে সরবরাহের জন্য পাইপলাইন অবকাঠামোতে প্রবাহিত করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। BGCL-এর সিইও অনুপম মুখার্জি বলেন, “কল্যাণীতে আমরা ক্যাসকেড ব্যবহার করব না এবং শুধুমাত্র পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তাই, আমরা বলতে পারি যে এটি প্রকৃত অর্থে PNG সরবরাহ শুরু করবে।” দুর্গাপুর থেকে গেইল পাইপলাইন রাজারামবাটি হয়ে নদীয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছে। বিজিসিএল গয়েশপুর থেকে কল্যাণী পর্যন্ত আরেকটি পাইপলাইন স্থাপন করেছে এবং তারপর কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ব্যারাকপুর, বিমানবন্দর এবং চিংড়িঘাটা হয়ে বারুইপুর পর্যন্ত এটি সম্প্রসারিত করেছে।

খরচ ও আবেদনের পদ্ধতি

এবার আসা যাক এই পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ পেতে কত টাকা খরচ হবে এবং কীভাবে আবেদন করবেন, চলুন জেনে নেবেন। জানা গিয়েছে, পাইপের মাধ্যমে বাড়িতে গ্যাস পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। অনলাইনেও আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

  • ১) নয়া সংযোগ নেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে লাগবে ৬,৩০০ টাকা। সঙ্গে জিএসটি যোগ করা হবে।
  • ২) পাইপের মাধ্যমে বাড়িতে-বাড়িতে যে গ্যাস আসবে, প্রতি ঘনমিটারে তার দাম নির্ধারণ করা হবে। প্রতি ঘনমিটারে গ্যাসের দাম পড়বে ৫১ টাকা। এখানে কোনও ভর্তুকির গল্প নেই।
  • ৩) যতটা গ্যাস ব্যবহার করা হবে, সেটার দাম দিতে হবে। বিল আসবে। প্রতি দু’মাসে বিল দেওয়া হবে। অনলাইনেই বিল জমা দিতে পারবেন।
  • ৪) যে বাড়িতে পাইপবাহিত গ্যাসের সরবরাহ করা হবে, সেখানে মিটার থাকবে। ওই মিটারের ছবি তুলে অনলাইনে দিতে পারবেন। তাহলে বিল তৈরি হয়ে যাবে।

Leave a Comment