সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ নভেম্বর মাসেই কি বাংলার লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী DA পাবেন? সর্বোপরি চলতি সপ্তাহেই কি পাবেন? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন কর্মচারি সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়। দিওয়ালির সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বহু রাজ্য সরকার নিজেদের কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করেছে। ব্যতিক্রমী শুধু বাংলা। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ডিএ নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Bengal DA Case)। রায়দানের জন্য অপেক্ষা করছেন সকলে। নভেম্বরে কি এই রায়দান হবে ডিএ বৃদ্ধি হবে? সেই নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন মলয় মুখোপাধ্যায়।
ডিএ নিয়ে রায়দান কবে?
মলয়বাবু এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রায়দান হওয়ার কথা ছিল বলে জানতাম। এদিকে নভেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। এই সপ্তাহেও রায়দান হবে কিনা তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। কর্মচারিরা সবসময়েই আমাদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছেন। কিন্তু আমরা যেটা আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। বলা ভালো সংশয় যায়নি। এই সপ্তাহেই ডিএ নিয়ে রায়দান হবে সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে। কর্মচারি সমাজকে আমরা আবারও বলছি যে নভেম্বরে ডিএ মামলার রায়দানের সম্ভাবনা আছে। বুঝতে হবে সকলকে, সুপ্রিম কোর্টে আমরা খোঁজখবর রাখলেও সঠিক খবর পাইনা। আমাদের বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে রায় নিয়ে ভাবা হচ্ছে, রায়দান হবে।’
তিনি জানান, ‘এহেন পরিস্থিতিতে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নই যে এই সপ্তাহেই রায় বেরোবে। তবে আমরা আশা করছি নভেম্বর মাসেই ডিএ মামলার রায়দান করবে সর্বোচ্চ আদালত। পূর্ণ অধিকারে আমরা সরকারের কাছে ডিএ চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার সেটা দিতে চায়নি বলেই আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। গত ৮ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। এখন আমরা অপেক্ষা করছি রায়দানের। আমাদের ষষ্ঠ বেতন পে কমিশনে ডিএ দিচ্ছে কিন্তু তা ইরেগুলার। এখানে সরকার বলতে তো মমতা ব্যানার্জি। তিনি যেদিন মনে করবেন সেদিন এক কিস্তি দিয়ে ছুঁড়ে দেবেন।’
অষ্টম বেতন পে কমিশন নিয়ে কী বললেন?
মলয় মুখোপাধ্যায় সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রের সপ্তম, অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে জানান, সেইসঙ্গে বলেন বাংলা এখনো কীভাবে পঞ্চম বেতন পে কমিশনের টাকা ক্লিয়ার করছে না এবং ষষ্ঠ বেতন পে কমিশনে আটকে রয়েছে। তিনি জানান, ‘ অষ্টম বেতন পে কমিশন গঠন হয়েছে ২৮.১০.২০২৫-এ। চেয়ারম্যান সহ দুই মেম্বার আছে এর মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মাননীয়া রঞ্জনা দেশাইয়ের নেতৃত্বে দেড় বছরের মধ্যে সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার একদম নিয়ম মেনে পে কমিশন গঠন করে এবং নির্দিষ্ট নিয়মে বেতন সংশোধন করে। ‘