বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ছাত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পাশাপাশি দেশত্যাগ করেছেন কেপি শর্মা ওলি। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বর্তমানে শিবপুরি ব্যারাকে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। এবার সেখান থেকেই, ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নেপালের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী। একটি বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, নয়া দিল্লিকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখানোর কারণেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে, এমনটাই মনে করছেন ওলি (KP Sharma Oli Blames India)।
এই ইস্যুগুলিই ওলির পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াল!
সূত্রের খবর, নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি নাকি দাবি করেছেন, নয়া দিল্লিকে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ করার কারণেই আজ তাঁকে দেশ ছাড়া হতে হল। ওলির বক্তব্য, লিপুলেখ বিতর্ক ভারতের রেগে যাওয়ার অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন যে লিপুলেখ নয়া দিল্লি তাদের এলাকা বলে দাবি করে এসেছে, সেটাই নেপাল সরকার নিজেদের এলাকা দাবি করায় রেগে গিয়েছে ভারত।
ওলি আরও বলেন, অযোধ্যা তথা রামের জন্মস্থান নিয়ে ভিন্ন দাবি করার কারণেও তাঁকে রাজনৈতিক ক্ষমতা হারাতে হল। সেনার আশ্রয় থেকে এদিন নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলি বলেন, অযোধ্যা রামের জন্মস্থান, এই বিষয় নিয়ে আমি বিরোধিতা করায় আজ ক্ষমতা হারালাম। ওই সূত্রটি দাবি করছে, নিজের দলের সাধারন সম্পাদককে চিঠিতে ক্ষমতা হারানোর বিষয়টি জানিয়েছেন নেপালের দেশত্যাগী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
অবশ্যই পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে ডিটেনশন ক্যাম্পে! ঘোষণা হিমন্তর
রামকে নিয়ে ঠিক কী মন্তব্য করেছিলেন ওলি?
অনেকেই হয়তো জানেন, 2020 সালের জুলাইয়ে, নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি ভগবান রামকে ভারতীয় বলে অস্বীকার করার পাশাপাশি তাঁকে নেপালি বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁর জোরালো দাবি ছিল, ভগবান রাম আসলে নেপালি। রামলালার রাজ্য অযোদ্ধা যা নেপালের বীরগঞ্জের পশ্চিমে রয়েছে। এদিকে ভারত সরকার একটি বিতর্কিত অযোধ্যা তৈরি করে বসেছে। ওলির মতে, তাঁর এমন মন্তব্যই নয়া দিল্লির ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ভারতেরই লাল চোখ দেখতে হল তাকে!