নাগরিক হওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম ওঠে সোনিয়া গান্ধীর, বিস্ফোরক দাবি BJP-র

Sonia Gandhi

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে এবার কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। হ্যাঁ, দলের সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন যে, ইতালিতে জন্ম নেওয়া সোনিয়া গান্ধীর নাম 1980 সাল থেকেই নাকি ভোটার তালিকায় যুক্ত ছিল। অথচ তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন 1983 সালে অর্থাৎ তিন বছর পর।

অনুরাগ ঠাকুরের দাবী

এক প্রেস কনফারেন্সে অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, যে সময় সোনিয়া গান্ধীর নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছিল, তখন তিনি ইতালির নাগরিক ছিলেন। এটি নির্বাচন কমিশনের আইন লঙ্ঘন। এমনকি এই মন্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছিল বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের বক্তব্যতেও। 

এক্স হ্যান্ডেলে মালব্য 1980 সালের ভোটার তালিকার একটি ফটোকপি শেয়ার করেছেন, যা দিল্লির 145 নম্বর পোলিং স্টেশনের। এমনকি ওই তালিকায় ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং মেনকা গান্ধীর নামও ছিল। মালব্য দাবি করেছেন, সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ইতালির নাগরিক ছিলেন এবং ভারতের ভোটার তালিকায় তার অন্তর্ভুক্তি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবেই হয়েছিল।

আইন কী বলছে?

এদিকে 1950 সালের রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অ্যাক্ট বলছে, ভারতীয় নাগরিক নন, এমন কেউ ভোটার তালিকায় কোনোভাবেই নাম তুলতে পারবে না। মালব্য বলেছেন যে, 1980 সালের 1 জানুয়ারি ভোটার তালিকা সংশোধনের তারিখ ছিল। আর সে সময় সোনিয়া গান্ধীর নাম যুক্ত হয়েছিল 145 নম্বর পোলিং স্টেশনের 388 নম্বর সিরিয়ালে। তিনি আরো বলেছেন যে, সেবারও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ছিল এবং এটি নাগরিকত্ব প্রাপ্তির কয়েক মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছিল। সোনিয়া গান্ধী 1983 সালের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের নাগরিক হয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন প্রাইম টাইমে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্সে চালাতে হবে বাংলা ছবি! নির্দেশিকা রাজ্যের

উল্লেখ্য জানিয়ে রাখি, 1946 সালে ইতালিতে এডভিগে অ্যান্টোনিয়া আলবিনা মাইনো নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। 1968 সালে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ভারতে আসেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বিদেশি উৎস নিয়ে সবসময় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। আর তারই আরেক প্রমাণ হাতেনাতে মিলল এবার।

Leave a Comment