প্রীতি পোদ্দার, দমদম: রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য বারংবার বিরোধিতা করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জেরে প্রতিবাদ মিছিলও তৈরি হয়েছে। একটা ভোটারেরও নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না যায় তাই নিয়েও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিরোধীরা বারবার বলেছেন, SIR শুরু হলেই চিহ্নিত করা যাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। আর সেটাই সত্যি হল। রাজ্যে বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই একাধিক এলাকায় বাড়িতে তালা দিতে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন অনেকে। এবার সেই দৃশ্য দেখা গেল দমদমের (Dumdum) সাঁপুই পাড়ায়।
ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নিউটাউনের বস্তি এলাকা
SIR ঘোষণার পরেই কম বেশি বিভিন্ন এলাকায় সার্ভে করে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ তাঁদের ভিটে বসতি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। বাদ যায়নি খাস নিউটাউনে। সেখানকার ‘সিটি সেন্টার ২’ শপিং মলের ঠিক পিছনে আটঘড়া পূর্ব পাড়ায় দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ রাতারাতি চোরের মতন এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে। অভিযোগ তাঁরা নাকি বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু SIR প্রক্রিয়া শুরু হতেই ধরা পড়ার ভয়ে এখন তাঁরা জমি জায়গা ছেড়ে পালাচ্ছে। এবার সেই একই অবস্থা দেখা গেল দমদমের সাঁপুই পাড়ায়।
একই অবস্থা দমদমে
রিপোর্ট মোতাবেক দমদম সাঁপুই পাড়ার এক একটি কলোনিতে প্রায় ৭০টি করে ঘর রয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে সেই ঘরগুলির মধ্যে প্রায় ১০টি ঘরের বাসিন্দারা রাতের অন্ধকারে রীতিমতো এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকা জুড়ে। বাসিন্দাদের দাবি, অনেক মানুষ চলে গিয়েছে এলাকা ছেড়ে। সিদ্দিকী বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা জানান, “ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে পালাতে গিয়েও অনেকেই নাকি ধরা পড়েছে ওদের এলাকায়। আর তাই নিয়ে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে সরকারি নথিপত্রের বৈধতা নিয়ে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে গলায় চাকু ঠেকিয়ে মহিলা ধর্ষণ সিভিক ভলান্টিয়ারের! বীরভূমে হাড়হিম করা ঘটনা
SIR আবহে নিজের বসতি ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে নিউটাউনের তৃণমূল নেতা মহম্মদ আফতাব উদ্দিন বলেন, “গোটা দশেক পরিবার চলে গিয়েছে। জানিনা কোথায় গিয়েছে। যারা এখানে ৩০ বছর ধরে আছে, এরকম মানুষও আতঙ্কে চলে যাচ্ছে।” অন্যদিকে, বিজেপি তৃণমূলের মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে যে, এসআইআর হওয়ায় রাজ্যবাসী বেশ খুশি। বিজেপি নেতা স্বপন রায়চৌধুরী বলেন, “নিউ টাউনের মতো এলাকায় বসতি বসিয়েছে শুধু ভোটে জেতার জন্য। এবার বুঝবে তৃণমূল।”