বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রথমে নিশা চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করেও পরে তাঁর নাম সরিয়ে দেন জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, নিশা সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল ভিডিও বানান, সে কারণেই তাঁকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই আসনে নতুন প্রার্থী একজন ইসলাম ধর্মালম্বীকে করা হবে বলেই প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত বিধায়ক। এর জন্য অবশ্য 7 দিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন হুমায়ুন। তবে সেই নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই বলা ভালো নিশাকে তুলে নেওয়ার 24 ঘণ্টার মধ্যেই বালিগঞ্জ আসনে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রধান।
24 ঘণ্টার মধ্যেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন হুমায়ুন
তৃণমূল বহিষ্কৃত হুমায়ুনের কথা মতো, 7 দিনের মধ্যে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে নতুন প্রার্থীর নাম প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অর্থাৎ বুধবারই ভরতপুরের বিধায়ক জানিয়ে দিলেন, তিনি বালিগঞ্জ কেন্দ্রের জন্য একজন যোগ্য প্রার্থীর নাম ভেবে রেখেছেন। তিনি হলেন আবুল হাসান। জানা যায়, ইসলাম ধর্মালম্বী পেশায় প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক আবুলকেই এই কেন্দ্রে প্রার্থী করার কথা ভাবছেন হুমায়ুন। এখানেই শেষ নয়, 2026 বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও কয়েকজন প্রার্থীর নাম একপ্রকার চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক।
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে যাঁকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে চলেছেন হুমায়ুন তিনি আসলে তাঁর দূর সম্পর্কের মামা। এই আবুল হাসান বাম জামানায় পুলিশ আধিকারিকের পদে ছিলেন। বর্তমানে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। তাঁকেই এবার জনতা উন্নয়ন পার্টির ঝান্ডায় বালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী করতে চলেছেন কবীর। এ নিয়ে অবশ্য বিতর্ক থেমে থাকেনি। অনেকেই বলছেন, নিশা একজন হিন্দু বলেই তাঁকে বাদ দিয়ে পছন্দের মুসলিম প্রার্থী নির্বাচন করলেন হুমায়ুন।
অবশ্যই পড়ুন: ১০ বলে এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড ভেঙে দিলেন বৈভব সূর্যবংশী
উল্লেখ্য, গত সোমবার নতুন দল ঘোষণার পরই বালিগঞ্জ আসনে নিশা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন। তবে 23 তারিখ সকাল হতেই বদলে যায় গোটা চিত্র। বালিগঞ্জ আসন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় নিশার নাম। যা নিয়ে পরবর্তীতে কলকাতানিবাসী নিশা চট্টোপাধ্যায় জানান, হুমায়ুন চাচা তাদের পারিবারিক বন্ধু। তিনিই তাঁকে প্রার্থী হতে বলেছিলেন। সে কারণেই তিনি নাম দিয়েছিলেন। নিশার কথায়, রিল ভিডিও বানানোর জন্য নয় বরং আমি হিন্দু বলেই আজকে প্রার্থী তালিকা থেকে আমার নাম বাদ পরলো।” শুধু তাই নয়, সমাজ মাধ্যমে ব্যাপক ট্রোল হতে হচ্ছে বলেও জানান নিশা। এমনকি হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হুশিয়ারি দেন তিনি।