বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: রবিবার ফের শিরোনামে তৃণমূলের বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। মুর্শিদাবাদের শান্তিপুরে এবার হুমায়ুনের বাড়িতে পৌঁছাল পুলিশ। সূত্রের খবর, ভরতপুরের বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ পেতেই হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। এদিকে নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।
পুলিশ সুপারকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের
রবিবার, শান্তিপুরের বাড়িতে পুলিশ হানা দিতেই সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এক সময় তৃণমূলের বলিষ্ঠ নেতা হুমায়ুন। এদিন সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েই ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “শান্তিপুর থানা সহ জেলা পুলিশের কিছু গাড়ি আমার বাড়ির আশেপাশে রয়েছে। আমি মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, আমাদের সাথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ যেন পুলিশ না করে। তাহলে আমি কিছুক্ষণ ওয়েট করবো.. আমার বাড়িতে পুলিশ কোনও অশালীন আচরণ করে, আমার ছেলে বা আমার মিসেস ও আমার বৌমা আছে বাড়িতে আর কেউ থাকেনা। তাদের সঙ্গে যদি কোনও অশালীন আচরণ হয় আমি এখান থেকে ঘন্টা দুয়েক পরে ঘোষনা করব আমি বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপারকে ঘেরাও করব, জবাব দেব।”
অবশ্যই পড়ুন: T20 বিশ্বকাপের আগেই ধাক্কা খেল পাকিস্তান! চোট পেলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বোলার
নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ হুমায়ুনের
পুলিশের তরফে হুমায়ুন কবীরের ছেলের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠলে এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে গোটা বিষয়টি খোলসা করেন ভরতপুরের বিধায়ক। জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রধানের বক্তব্য, তাঁর 3 জন নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যেকেই মাসে আট করে দিন ছুটি পান। তবে যিনি অভিযোগ করছেন সেই নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে আগে থেকে না জানিয়ে ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, হুমায়ুনের এও দাবি, কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই ওই নিরাপত্তারক্ষী তাঁর বাড়ির অফিস ঘরে ঢুকেছিলেন। মূলত সে কারণে তাঁকে সেখান থেকে ধরে বের করে দেন ছেলে। তবে তাঁকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। সেই সাথে পুলিশ যদি তাঁর বাড়তি নিরাপত্তা তুলে নেয় তাতেও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছেন হুমায়ুন।