নির্বাচনের আবহে ফের পাহাড় নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত! মোদীকে দ্বিতীয়বার চিঠি মমতার

Gorkha Issue

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে রীতিমত সবুজ এবং গেরুয়া শিবিরের মধ্যে তুমুল বিরোধিতা শুরু হয়েছে। আর এবার ফের পাহাড়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক (Gorkha Issue) শুরু হল। কিছুদিন আগে দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্সের গোর্খাদের নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথোপকথন চালানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজকুমার সিংহকে নিয়োগ করেছিলেন অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তখন সেই সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক এবং স্বেচ্ছাচারী’ বলে মন্তব্য করে মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। আর এবার ফের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাহাড়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে বিক্ষোভ

পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাইতো তার বিরোধিতা করে গত মাসেই মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন এবং বলেছিলেন, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এলাকার প্রশাসন, শান্তিরক্ষার বিষয়ে সরাসরি রাজ্য সরকারের আওতাভুক্ত হওয়া সত্বেও কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি।” আর এই নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, এমতাবস্থায় আজ অর্থাৎ সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাহাড় নিয়ে দ্বিতীয়বার চিঠি মমতার

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন যে, ‘‘মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের বিষয়ে আপনার হস্তক্ষেপের পরেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গত ১০ নভেম্বরের একটি চিঠিতে জানিয়েছে যে, মধ্যস্থতাকারীর দফতর ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। যা খুবই বিস্ময়কর।” তিনি আরও বলেন যে, “ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে পাহাড়ের শান্তি এবং স্থিতাবস্থা নষ্ট হতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গোরখা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) অ্যাক্ট, ২০১১ অনুযায়ী পাহাড়ের প্রশাসনিক বিষয় রাজ্যের অধীনেই পড়ে। সেই আইনে ‘Government; বলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই বোঝায়। তাই পাহাড়ের বিষয়ে ইন্টারলোকিউটার নিয়োগ করার মতো ক্ষমতা কেন্দ্রের নেই।”

আরও পড়ুন: কল্যাণের অভিযোগের ভিত্তিতে চিরুনি তল্লাশি রাজভবনে! চলছে লাইভ সম্প্রচার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতার সুরে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলেন যে, “কেন্দ্রের এই একতরফা সিদ্ধান্ত আইনবহির্ভূত, সংবিধানের পরিপন্থী এবং ক্ষমতার অপপ্রয়োগ। রাজ্যের আইনগত অধিকার যেখানে স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, সেখানে কেন্দ্রের এমন হস্তক্ষেপ দেশের ফেডারেল কাঠামোর প্রতি আঘাত। অর্থাৎ এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার এক দারুণ প্রচেষ্টা।” এখন দেখার পালা সরকারের পাঠানো এই চিঠিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

Leave a Comment