বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ছাত্র যুবদের বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল। প্রবল চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পদ ছেড়েছেন নেপালের বহু নেতা, মন্ত্রীরা।
শুধু তাই নয়, তরুণ নেপালিদের আন্দোলনের মুখে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলিকে হেলিকপ্টারে করে একটি অজানা স্থানে নিয়ে গিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভের আগুন এক ফোঁটাও কমেনি। ক্ষমতাচ্যুত কেপি ওলির নানান দুর্নীতিকে সামনে রেখে তাঁর বাসভবন সহ নেপালের বিভিন্ন সরকারি অফিস এবং কার্যালয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এরই মাঝে আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পড়ল নেপালের অন্যতম বড় নিদর্শন পশুপতি মন্দিরে।
সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে বেশ কিছু ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত হিন্দু মন্দিরটিতে ভাঙচুর চালাচ্ছে নেপালের ছাত্র যুবরা। মন্দিরের লোহার দরজা ভেঙে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে সেখানে (Attack On Pashupatinath Temple)। এদিকে বাকি আন্দোলনকারীরা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করছেন। এবার সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিবাদ জানালেন এক মোদি সমর্থক।
পশুপতি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানালেন এক বিজেপি সমর্থক
সদ্য জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং নামক এক ব্যক্তির এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভেসে এসেছে একটি ভিডিও। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, নেপালের পশুপতি মন্দিরটিতে জড়ো হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন যুবক মন্দিরের লোহার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন। কেউ হিন্দু মন্দিরের দরজায় লাথি মারছেন, কেউ আবার লোহা জাতীয় কোনও ধাতুর তৈরি অস্ত্র দিয়ে মন্দিরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন, এসবই ধরা পড়েছে ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে।
অবশ্যই পড়ুন: পথে এল ট্রাম্প! বাণিজ্য বাধা দূর করতে মোদির সাথে কথা বলতে আগ্রহী
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতেই পারে, কিন্তু পশুপতিনাথ মন্দিরে কেন লক্ষ্যবস্তু হল? মূলত এমন প্রশ্নেই গোটা ঘটনাটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই বিজেপি সমর্থক। জিতেন্দ্র ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লিখেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতেই পারে, কিন্তু পশুপতিনাথ মন্দিরকে কেন লক্ষ্যবস্তু বানানো হল? এই মন্দিরটি কেবল ইট-পাথর নয়, বরং সমগ্র হিন্দু সমাজের বিশ্বাস এবং পরিচয়ের প্রতীক। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বোধগম্য, কিন্তু মন্দিরের দরজা ভাঙার চেষ্টা কেন? আসল ক্ষোভ কোথায়? মন্দিরের উপর এমন আক্রমণ কেন হচ্ছে? ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখার পর তার কমেন্ট বক্সে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন বহু নেট নাগরিক।
गुस्सा अगर सरकार से है, तो निशाना पशुपतिनाथ मंदिर क्यों?
ये मंदिर सिर्फ ईंट-पत्थर नहीं, बल्कि पूरे हिंदू समाज की आस्था और पहचान का प्रतीक है।सरकार के खिलाफ विरोध समझ आता है,
लेकिन मंदिर के दरवाज़े तोड़ने की कोशिश?असली गुस्सा कहाँ है? और चोट मंदिर पर क्यों?#NepalRiots… pic.twitter.com/2kCE7oLezz
— 🇮🇳Jitendra pratap singh🇮🇳 (@jpsin1) September 9, 2025