বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ছাত্র-যুবদের আন্দোলনে উত্তাল নেপাল। একনাগারে বিক্ষোভের জের পুলিশের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পড়শি দেশে। আর তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে ভারতেও। এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে, নেপালে সংঘর্ষের যাঁতাকলে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ভারতীয় ট্রাক চালক। সূত্রের খবর, গুলি লাগার পর কোনও মতে গাড়ি ফেলে রেখে ভারতে ফিরে এসেছেন ওই চালক। এদিকে নেপাল জুড়ে অশান্তির জের বন্ধ হয়ে গিয়েছে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত (Nepal-WB Border Situation)।
নেপালে আটকে একাধিক ভারতীয় ট্রাক
HT-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের নেপাল সীমান্তে আটকে রয়েছে কয়েকশো ট্রাক। জানা যাচ্ছে, নেপালে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গাড়ি ফেলে রেখে দেশে ফিরে আসছেন বহু ভারতীয় চালক। এদিকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যে পানিট্যাঙ্কিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত দোকান। একই সাথে সোমবার দুপুর থেকেই সীমান্তে বেড়েছে কড়াকড়ি। পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে তবেই সীমান্ত পারাপার করতে পারছেন মানুষজন। রাজ্যের তরফেও গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
বিক্ষোভের মাঝে প্রাণ গিয়েছে 20 জনের
নেপাল সরকারের তরফে দেশটিতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ সহ মোট 26টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করা হলে, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলনে পা বাড়ান পড়শি দেশের ছাত্র যুবরা। সময় যত গড়ায়, পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ হতে শুরু করে। একটা সময়ে দাঁড়িয়ে, পুলিশের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। আর তাতেই অকালে ঝরেছে 20 জনের প্রাণ। তাছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে তিন শতাধিক।
নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত সরকার
নেপালের ভয়াবহতার দিকে নজর রেখে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। ওই বিবৃত স্পষ্ট বলা হয়েছে, সোমবার থেকেই নেপালের ঘটনাবলীর উপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে নয়া দিল্লি। সেখানে তরুণদের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ভারত। প্রতিবেশী এবং বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সব পক্ষকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি। পাশাপাশি, নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের স্থানীয় নেপালি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে চলার কথাও জানানো হয়।
অবশ্যই পড়ুন: এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান ম্যাচের দায়িত্বে দুই বাংলাদেশি আম্পায়ার! নাম জানাল ACC
উল্লেখ্য, আগামী 16 এবং 17 সেপ্টেম্বর ভারত সফরে আসার কথা ছিল কেপি ওলির। তবে ছাত্র জনতার তুমুল বিক্ষোভের মাঝে প্রবল চাপে পড়ে শেষমেষ বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ওলি। কাজেই, নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নয়া দিল্লি সফর যে আর হচ্ছে না সে কথা বলাই যায়।