সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গ্রেটার নয়ডাতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। হ্যাঁ, স্ত্রীর হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী বিপিনকেই রবিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গুলি করে এনকাউন্টার করেছে (Up Police Encounter Vipin)। ঘটনাটি ঘটেছে সিরসা চক সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বিপিনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর সেই সময় হঠাৎ করে এক পুলিশ কর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে সে পালানোর চেষ্টা করেছিল। আত্মরক্ষার্থেই পুলিশ গুলি চালালে তার পায়ে লাগে।
স্ত্রীর উপর নৃশংস নির্যাতন
অভিযোগ উঠছে, গত বৃহস্পতিবার ছয় বছরের ছেলের সামনেই তার স্ত্রী নিক্কিকে বেধড়ক মারধরের পর কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিপিন এবং তার পরিবারের সদস্যরা। আর এই ঘটনায় নিক্কির নৃশংসভাবে মৃত্যু হয়। শনিবার পুলিশ বিপিনকে গ্রেফতার করলে বাকিদের খোঁজে অভিযান চালানো হয়েছে।
নিক্কির বাবা দাবি করেছে, তাঁর মেয়ে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে পণের জন্য নির্যাতিত হচ্ছিল। তাঁর মায়ের অভিযোগ, আমার মেয়েকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। ওরা সবাই এই চক্রে জড়িত। আমি চাই পুলিশ সবাইকে গুলি করুক। তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে দেওয়া হোক।
#WATCH | Greater Noida, UP | Accused of murdering his wife Nikki over dowry demands, Vipin Bhati brought to the hospital for treatment, after he was shot in the leg during an encounter with the police. pic.twitter.com/DZMuAenvX5
— ANI (@ANI) August 24, 2025
আত্মহত্যা করেছে তাঁর স্ত্রী?
এদিকে পুলিশের জেরায় সহযোগিতা করলেও বিপিন সংবাদমাধ্যমকে অদ্ভুত মন্তব্য করে বসে। সে দাবী করেছে, আমার কোনোরকম অনুশোচনা নেই। আমি ওকে মারিনি, ও নিজেই মারা গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে, এটা স্বাভাবিক। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে, নিক্কি আত্মহত্যা করেছে।
তবে সব থেকে হৃদয়বিদারক তথ্য সামনে এসেছে যখন নিক্কির ছয় বছরের ছেলে জানিয়েছে, তাঁর মাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চুল ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছে। তারপর দাহ্য পদার্থ ঢেলে লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটির দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের আট বছর পরও পণের যন্ত্রণায় জর্জরিত নিক্কিকে কীভাবে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সার্টিফিকেট থেকে ভোটার কার্ড, ২০২২ সালের ১.৫ লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস
উল্লেখ্য নিক্কির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে। আর পোস্টমর্টেম শেষে পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং রবিবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিপিন আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও পরিবারের সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।