পরকীয়ায় মত্ত স্ত্রীকে মাঝ রাস্তায় ধারালো অস্ত্রের কোপ স্বামীর! অণ্ডালে দিনে দুপুরে বর্বরতা

Haripur Incident

সৌভিক মুখার্জী, হরিপুর: পরকীয়ায় মত্ত স্ত্রী। সেই সন্দেহে প্রকাশ্য রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ স্বামীর। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের হরিপুর (Haripur Incident) বাজার এলাকায়, যা নিয়ে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং আহত মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মহিলার পরিবার দাবি করছে, মেয়ে কাজ করুক তা চাইতেন না জামাই। সেখান থেকেই এই ঘটনা।

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকের নাম পিন্টু গোপ। ছোড়া গ্রামের বাসিন্দা সে। আট বছর আগে খান্দরা পঞ্চায়েতের সিদুলির বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের এক মেয়ে ও ছেলেও রয়েছে। পিন্টু বর্তমানে একটি মিষ্টির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। এদিকে তার স্ত্রী একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী। তবে ছোড়া গ্রামে বাড়ি হলেও পরিবার নিয়ে ওই দম্পতি ইসিএলের একটি আবাসনে ভাড়া থাকতেন বলেই রিপোর্ট অনুযায়ী খবর।

পরকীয়ার সম্পর্ক স্ত্রীর?

গোপন সূত্রে পিন্টু খবর পেয়েছিল যে তার স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে, যা নিয়ে পরিবারের মধ্যে ঝামেলা লেগেই ছিল। তবে শনিবার সকালে কাজে যাওয়ার জন্য তার স্ত্রী স্কুটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। আর তখনই তার পিছু নেয় পিন্টু। তারপর হরিপুর বাজার এলাকায় পৌঁছনোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ মারতে থাকে ওই মহিলাকে। মাঝ রাস্তায় এই হাড়হিম করা ঘটনা দেখে সকালের চক্ষু চরকগাছে ওঠে। স্থানীয়রাই থামায় পিন্টুকে। ঘটনার খবর পেয়েই বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ সেখানে পৌঁছয় এবং মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

তবে আগত মহিলার মা বলেছেন, জামাই মেয়েকে হাসপাতালে কাজ করতে দেবে না বলেছিল। ও চাইতো না যে মেয়ে কাজ করুক। জামাই যা কাজ করে সব টাকায় মদ খেয়ে উড়িয়ে দেয়। মেয়েকে কাজ করতে দেবে না বলেই ওভাবে ওকে মেরেছে। ঘরে সবসময় এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। আমার মেয়ের কোনওরকম পরকীয়ার সম্পর্ক নেই। আমরা জামাইয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চাই। মেয়েকে আর কখনো ওই বাড়ি পাঠাব না।

আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তদের দুঃসংবাদ দিয়ে অনেকটাই চড়ল সোনা, রুপোর দর! আজকের রেট

যদিও এসিপি পিন্টু সাহা বলেছেন, ঘটনার কথা সম্পূর্ণ জেনেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ওই অভিযুক্ত পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Comment