সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্পর্কের সমস্ত সীমা এবার লঙ্ঘন হল! দিল্লির হাউস কাজি এলাকায় ঘটেছে এক ভয়াবহ ঘটনা। মা-ছেলের পবিত্র সম্পর্কই এবার কলুষিত। অভিযোগ উঠছে, নিজের মাকেই নাকি এক যুবক দু’বার ধর্ষণ (Son Raped Mother) করেছে। এমনকি ভুক্তভুগি মহিলা পুলিশের কাছে এই ঘটনার লিখিত বিবরণ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে বলে খবর। তবে কীভাবে ঘটল এই নোংরা ঘটনা?
ঘটনাটি কী?
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের মা সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তিনি স্বামী এবং কন্যার সঙ্গে হজযাত্রায় সেখানে গিয়েছিলেন বলেই খবর। তবে সফর চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত ছেলে বাবার ফোনে কল করে মাকে চরিত্রহীন বলে অভিযোগ করেছিল এবং বাবাকে স্ত্রীকে ত্যাগ করার দাবি জানায়।
এমতাবস্থায় দেশে ফেরার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। 11 আগস্ট ওই যুবক জানিয়েছিল যে, সে মায়ের সঙ্গে একান্ত কথা বলতে চায়। এরপর মাকে একটি ঘরে আটকে রেখে নির্দয়ভাবে মারধর করে, এমনকি ধর্ষণও করে। ওই সময় মায়ের কোনও অনুরোধ তাকে থামাতে পারেনি। ওই যুবক দাবি করেছে যে, এটাই নাকি তাঁর মায়ের অতীতের আচরণের সমস্ত শাস্তি। রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক তার মায়ের উপর পরকীয়ার অভিযোগ তুলেছিল।
दिल्ली में हैवान बना बेटा, बुजुर्ग मां से दो बार किया रेप
◆ पुलिस ने हौज काजी इलाके में 39 वर्षीय शख्स को किया गिरफ्तार
◆ बेटे ने मां पर खराब कैरेक्टर का आरोप लगाया, पिता से बोला- तलाक दे दो#DelhiCrime #DelhiNews | Delhi Son Raped Mother pic.twitter.com/rh3U3TEdRd
— News24 (@news24tvchannel) August 17, 2025
একবারে থামেনি ওই যুবক
প্রথম ঘটনার আঘাত সামলানোর জন্য মেয়ের বাড়িতে ওই মহিলা আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে 14 আগস্ট রাতের বেলা অন্ধকারে ফের চরম নৃশংসতা চালিয়েছে ওই যুবক। মায়ের ঘরে ঢুকে আবারও তাকে ধর্ষণ করেছে। পরদিন আতঙ্কিত মহিলা নিজেই ছোট মেয়েকে সবকিছু জানিয়ে দেন। এরপর মেয়ের উৎসাহে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ ব্রহ্মোস দিয়ে সজ্জিত, ১৬০ কিমি দূরের শত্রুকে সাফাই করবে দেশি মহাবলী
অভিযোগ পাওয়ার পরই দিল্লি পুলিশের হাউস কাজি থানার কর্মকর্তারা দ্রুত তদন্ত নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে ফেলেছে। পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায়বিধির ধারা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক সিনিয়ার পুলিশের অফিসার জানিয়েছেন, এই ধরণের ঘটনা মানবিক সীমাকে অতিক্রম করছে। মা-ছেলের সম্পর্ক দিনের পর দিন কলঙ্কিত হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।