সহেলি মিত্র, কলকাতা: পরীক্ষা চলাকালীন বড় ঘটনা ঘটে গেল বর্ধমানের (Bardhaman) জিয়াড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাস ঘরের সিলিং এর কংট্রিটের চাঙড় ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময়ে সেখানে শিক্ষকও হাজির ছিলেন। তবে যা অবস্থা হয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারত বড় ঘটনা। বাংলার স্কুলের দৈনদশা দেখলে এবং সম্পর্কে জানলে আপনিও চমকে উঠবেন।
স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন ভেঙে পড়ল ছাদের অংশ
বর্ধমান ১ ব্লকের বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের জিয়াড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ। সেইসময়ে সেখানে হাজির ছিলেন শিক্ষক থেকে শুরু করে ১৫ জন পড়ুয়া। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদম প্রধান শিক্ষকের কাছেই ভেঙে পড়ে সেটি। গুরুতরভাবে আহত হতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেই যে কথায় আছে না, রাখে হরি তো মারে কে, সেই শিক্ষকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা নিচ্ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আসগর আলি। সেই সময় হঠাৎ সিলিং-এর চাঙড় ভেঙে যায়। যেখানে প্রধান শিক্ষক দাঁড়িয়ে ছিলেন ঠিক তার পাশেই ভেঙে পড়ে কংক্রিটের অংশ। এই ঘটনার পরেই চরম আতঙ্ক ছড়ায়। আওয়াজ পেয়ে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও ছুটে আসেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনার পর হাতুড়ি এনে স্কুলের শিক্ষকরাই, স্কুলের ভগ্নপ্রায় অংশ ভেঙে দিচ্ছেন, যাতে আর অঘটন না ঘটে।
কী বলছেন প্রধান শিক্ষক?
ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আসগর আলি বলেন, ‘আমাদের এই স্কুল অনেকটাই পুরানো। অনেক অংশই ভগ্নপ্রায়। তাই স্কুলের সংস্কারের টাকা এসেছে। কাজও শুরু হয়েছে। যে অংশটায় কাজ হয়নি এদিন সেই অংশটাই ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত বাকি অংশের কাজও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু, আজ একটা বড় অঘটন ঘটে যেতে পারত। ‘ এই ঘটনা নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক( প্রাথমিক) প্রলয়েন্দু ভৌমিক বলেন, বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।