পশুপ্রেমী বলেই পরিচিত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর হামলাকারী কে এই রাজেশ খিমজি?

Rekha Gupta Attack

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সকাল সকাল দিল্লিতে ঘটে গেল ধুমধুমার কাণ্ড। হ্যাঁ, এক জন শুনানির সময় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপরেই এক ব্যক্তি হামলা চালাল, তাও মুখ্যমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে। সামান্য চোট পেয়েছেন রেখা গুপ্তা (Rekha Gupta Attack)। তবে তিনি আপাতত নিরাপদে রয়েছেন বলেই সুত্র মারফৎ খবর। এদিকে দিল্লি পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। 

কে এই অভিযুক্ত?

প্রাথমিক তদন্ত মারফৎ জানা গিয়েছে, হামলাকারীর নাম রাজেশ ভাই খিমজি ভাই সাকারিয়া। তাঁর বয়স 41। তিনি নাকি গুজরাটের রাজকোট জেলার বাসিন্দা। আর বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কীভাবে ঘটল এই হামলা?

মনে করা হচ্ছে, এই হামলার পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। হ্যাঁ, প্রত্যক্ষদর্শিরা দাবি করছে, রাজেশ খিমজি প্রথমে কিছু ডকুমেন্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছিল। এরপর আচমাই তাঁর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দিল্লির বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব জানিয়েছেন, হামলাকারী মুখ্যমন্ত্রীর হাত চেপে ধরেছিলেন। আর তাতেই তিনি ভারসাম্য হারিয়ে টেবিলের ধারে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আবার পুলিশ দাবি করছে, একটি ভারী বস্তু ছোঁড়া হয়েছিল, যা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে লাগে। যদিও এখনো পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে সেরকম কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি।

এদিকে এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ শংকর জানাচ্ছেন, প্রায় 41 বছরের এক ব্যক্তি ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার নাম করে হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রীর উপর আক্রমণ করে বসেন। তার কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছিল যে, হয়তো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সে যুক্ত। দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা মন্তব্য করেছেন, এটা সাধারণ কোনো হামলা নয়। এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে। এদিকে দিল্লির কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব প্রশ্ন তোলেন, যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই নিরাপদ না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? 

উল্লেখ্য, ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা জানিয়েছেন, সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কোনো সমস্যা ছিল না। হঠাৎ করেই ওই লোকটা মুখ্যমন্ত্রীকে এক থাপ্পর মারে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে। আর সেই মুহূর্ত ছিল খুবই ভয়ংকর।

আরও পড়ুনঃ আইনি নোটিশের পর নির্যাতিতার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা কুণাল ঘোষের

এদিকে এই হামলার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ আধিকারিক ও সিনিয়র অফিসাররা। দিল্লি পুলিশের সূত্রে জানানো হয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে, আর হামলার উদ্দেশ্য এবং এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পর ফের দিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কীভাবে এরকম ফাঁক রয়েছে, তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে সংশয়।

ওদিকে গুজরাটের বাসিন্দা রাজেশ খিমজির প্রতিবেশী জানিয়েছেন যে, আমি তাঁকে 5-6 বছর ধরে চিনি। সে একজন উদার ব্যাক্তি এবং একজন পশুপ্রেমী। ও রোজই গরু, কুকুরদের খাবার খাওয়ায়।’

Leave a Comment