বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের বিরুদ্ধে ফের বিষ উগরে দিল পাকিস্তানের বন্ধু আজারবাইজান (Azerbaijan)। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ইসলামের দেশটি এবার নয়া দিল্লির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছে! জানা যাচ্ছে, চিনের সাংহাই সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে নিজেদের সদস্যপদ স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দেশটি। শুধু তাই নয়, নেপথ্যে যুক্তি দিয়ে বাকু জানিয়েছে, পাকিস্তানের বন্ধু হওয়ার কারণেই তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত!
চিনে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে অভিনন্দন আজারবাইজানের
দীর্ঘ 7 বছর পর চিনের মাটিতে পা পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। উপলক্ষ্য, তিয়ানজিনের সাংহাই সহযোগিতা পরিষদের শীর্ষ সম্মেলন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে মোদির পাশাপাশি ওই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন, ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেস্কিয়ান সহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ওই একই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। সেখানে পৌঁছেই ভারতের বিরুদ্ধে গত মে মাসের সংঘাতে জয়লাভের জন্য পাকিস্তানকে অভিনন্দন জানান তিনি।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের কথায়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত যতই চাপ সৃষ্টি করুক আজারবাইজান ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব একই থাকবে। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও কৌশলগতভাবে দুই দেশের মধ্যে যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তা আগামীতেও এগিয়ে চলবে। আসলে চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে গলাবাজি করতেই পাকিস্তানকে অভিনন্দন জানিয়েছিল বাকু। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, আদতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে গিয়ে গাড্ডায় পড়েছে আজারবাইজান!
অবশ্যই পড়ুন: রাশিয়া থেকে তেল কিনে বিরাট লাভের মুখ দেখল ভারত, হিসেব দেখে জ্বলবে আমেরিকাও
ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আজারবাইজানের!
সম্প্রতি তুর্কির সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ নাকি বলেছেন, আন্তর্জাতিক ফোরামগুলিতে নয়া দিল্লির বিরোধিতা সত্বেও বাকু ইসলামাবাদের সঙ্গে ভাতৃত্বকে অগ্রাধিকার দেবে। পাকিস্তান এবং আজারবাইজানের মধ্যে বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক, সামরিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। আজারবাইজানের টিভি চ্যানেল নিউজ দাবি করছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য পদের জন্য আবেদন জানিয়েছিল বাকু। তবে ওই আবেদনের খবর জানতে পেরেই ভারত আজারবাইজানের সদস্যতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যদিও, পাক বন্ধুর সংবাদমাধ্যমের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত। তবে জানা যাচ্ছে, সাংহাই সহযোগিতা পরিষদের সদস্যতা না পাওয়ায় ঘনিষ্ঠ মহলে ভারতের বিরুদ্ধে নানাভাবে খুব ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পাকিস্তানের বন্ধু দেশটি।