পাকিস্তানি বাবা-ছেলে মিলে হামলা চালিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বন্ডি বিচে, জঙ্গি যোগেরও সন্দেহ

Australia Terrorist Attack

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সবথেকে বড় জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল সিডনি (Australia Terrorist Attack)। ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হনুক্কা চলাকালীন সিডনির জনপ্রিয় বন্ডি বিচে সশস্ত্র জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের। পাশাপাশি আহত হয়েছে প্রায় ৪০ জন। সবথেকে বড় ব্যাপার, নিহতদের মধ্যে একটি ১২ বছরের শিশুর রয়েছে। আর এই ঘটনা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া নয়, বরং গোটা বিশ্বে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

বাবা-ছেলে মিলেই হামলা

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলার মূল চক্র এক বাবা ও ছেলে। নিহত জঙ্গির নাম সাজিদ আক্রম, বয়স ৫০ এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তার ছেলে নাভিদ আক্রম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার বয়স ২৪। পুলিশের গুলিতে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে, আর নাভিদ বর্তমানে সংকটজনক অবস্থাতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হামলাকারী দু’জনেই পাকিস্তানের নাগরিক। এরা দীর্ঘদিন ধরেই সিডনিতে বসবাস করছিল। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, হামলার পর কাছের একটি গাড়ি থেকে একাধিক আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। আর আশঙ্খা করা হচ্ছে, হামলার মাত্রা আরও বড় হতে পারত। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এএসআই জানিয়েছে, হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত একজন আগে থেকে নিরাপত্তা সংস্থারর নজরে ছিল। যদিও তাকে তখন চিহ্নিত করা যায়নি। তবে হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

লস্কর-ই-তইবার সাথে যোগসূত্র

তদন্তকারীরা জানাচ্ছে, হামলার ধরণ, অস্ত্র ব্যবহারের দক্ষতা আর পরিকল্পনা দেখে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে এদের যোগাযোগের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে লস্কর-ই-তইবার মতো সংগঠনের সাথে যোগসূত্র আছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

আরও পড়ুন: শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, এই প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা পেনশন দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার

প্রসঙ্গত, এই রক্তাক্ত ঘটনার মধ্যে গোটা বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। হ্যাঁ, তিনি স্থানীয় এক ফল বিক্রেতা। নিজের জীবনকে তোয়াক্কা না করে পেছন থেকে জঙ্গির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেন ওই ব্যক্তি। আর ভাইরাল ভিডিওতে সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে। আহমেদ দু’বার গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাঁর সাহসিকতাকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ করছে গোটা বিশ্ব।

Leave a Comment