বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের উড়ন্ত ট্যাঙ্ক অ্যাপাচে নাকি চিনের তরফে পাওয়া পাকিস্তানের অত্যাধুনিক Z-10ME, কার শক্তি সবচেয়ে বেশি? ড্রাগনের তরফে পাওয়া অত্যাধুনিক Z-10ME কপ্টারটি গত 2 আগস্ট পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন স্বয়ং পাক সেনাপ্রধান অসীম মুনির। আর এর পর থেকেই ভারতের অ্যাপাচের সাথে ক্ষমতার বিচারে বারংবার নাম আসছে Z-10ME কপ্টারটির। কে আসলে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী? রইল বিস্তারিত।
ভারতের অ্যাপাচে বনাম চিনের Z-10ME
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের অ্যাপাচে AH-64E কপ্টারটি ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এসেছে। বলে রাখি, এই অত্যাধুনিক কপ্টারে রয়েছে লংবো ফায়ার কন্ট্রোল রাডার। এছাড়াও, শত্রুর ওপর জোরালো এবং নিখুঁত আঘাত হানতে এই কপ্টারে রয়েছে TADS প্রযুক্তি ও নাইট ভিশন সেন্টার।
না বললেই নয়, উন্নত প্রযুক্তি সহ নাইট ভিশন সেন্সরের কারণে এই কপ্টার রাতের অন্ধকারেও শত্রুকে চিহ্নিত করে তার ওপর নিখুঁত হামলা চালাতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, ভারতের এই কপ্টারে রয়েছে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ ও ডেটা লিঙ্ক করার ব্যবস্থাও।
একই সাথে, আমেরিকান প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের এই অ্যাপাচে 30 মিলিমিটারের কামান, হিল ফায়ার মিসাইল সহ ভয়ানক সব রকেট দ্বারা সজ্জিত। বলতেই হয়, এই কপ্টার থেকে ভূমি এবং আকাশ উভয় ক্ষেত্রেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা! কাজেই, শত্রু নিধনে ভারতীয় সেনার কাছে এই কপ্টারের গুরুত্ব অপরিসীম।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের হাতে থাকা চিনা Z-10ME হেলিকপ্টারের ক্ষমতাও নেহাত কম নয়। এর পাল্লা কম করে 1,120 কিলোমিটার। এটি মূলত 23 মিলিমিটারের ক্যালিবার বন্দুক দ্বারা সজ্জিত। এছাড়াও চারটি হার্ডপয়েন্ট আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি উভয় ক্ষেত্রেরই ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে এই কপ্টার।
অবশ্যই পড়ুন: ‘শুল্ক আরও বাড়াব!’ ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির সপাটে প্রতিক্রিয়া ভারতের, নেওয়া হবে পদক্ষেপও?
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হেলিকপ্টারে 4টি 7 ব্যারেল রকেট লঞ্চার, 16টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ভয়ানক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করা যায়। বলে রাখি, এই কপ্টার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শত্রুর সাঁজোয়া গাড়ি এবং ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে পারবে পাক সেনা।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, সূত্র বলছে চিনের তরফে পাওয়া এই হেলিকপ্টার ভারত সীমান্তে মোতায়েন করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাতায় কলমে শক্তিশালী হেলিকপ্টার হিসেবে নাম লেখালেও অত্যাধুনিক রাডারের সুবিধা না থাকায় এই হেলিকপ্টার শত্রুর হামলা ঠেকাতে সেনাদের বেশ সমস্যায় ফেলতে পারে!