বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণের সাক্ষী থাকল পাকিস্তান। পশ্চিমের দেশের এক রাসায়নিক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক হওয়া থেকেই ঘটে বিস্ফোরণ (Pakistan Boiler Blast)। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত 15 জনের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়জলাবাদের মালিকপুর এলাকায়। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক নিথর দেহ। সূত্রের খবর, এখনও বহু মানুষ নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। তাতে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
ঠিক কীভাবে ঘটল এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ?
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে হঠাৎ গ্যাস লিক হয় ওই আঠা কারখানায়। যার কারণে ভয়াবহ বিস্ফোরণ থেকেই ফেটে যায় কারখানার একটি বয়লার। আর তাতেই প্রচন্ড শব্দে ভেঙে পড়ে কারখানার একটি বড় অংশ। তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে 15 জনের। এ ছাড়াও ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলেই দাবি স্থানীয়দের। এদিকে পাকিস্তানের স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, 15 জনের নিথর দেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি 7 জন আহত ব্যক্তিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “সকালের দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথমে কারখানার একটি বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল। পরে সেই আগুন ধীরে ধীরে বিল্ডিংয়ের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতেই এত মানুষের মৃত্যু হল। তবে পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও এখনও অনেককেই ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা যায়নি। কাজ চলছে। উদ্ধারকারী দল একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সরিয়ে আটকে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ চালাচ্ছে।” গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
অবশ্যই পড়ুন: সামান্য খরচে বড়দিনে ঘুরে আসুন নেপাল, দারুণ অফার আনল IRCTC
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দিল্লি বিস্ফোরণের কায়দায় ইসলামাবাদের একটি আদালত চত্বরে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে কমপক্ষে 12 জন নিহত এবং 27 জন আহতের খবর নিশ্চিত করেছিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। পাকিস্তানের তদন্তকারী অফিসাররা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, এটি মূলত আত্মঘাতী গাড়ি বিস্ফোরণ। গাড়িটিতে বিপুল পরিমাণ বোমা ছিল, যা আদালতের সামনে নিয়ে আসতেই বিস্ফোরিত হয়। ইসলামাবাদের সেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনার কিছু দিনের মাথায় ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণের সাক্ষী থাকলো গোটা পাকিস্তান।