পাকিস্তানের সাথে মিলে নতুন ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের? চিকেন নেক নিয়ে বড় পদক্ষেপ ভারতেরও

India Boosts Security At Chicken’s Neck Big Update

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেখ হাসিনার পতনের পর মহম্মদ ইউনূস জামানায় ক্রমশ কাছাকাছি এসেছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। তাতে ওপার বাংলায় ক্ষমতা বেড়েছে পশ্চিমের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ISI থেকে শুরু করে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলির। তাছাড়াও, বাংলাদেশ যেভাবে ভারত বিরোধী ও পাকিস্তানের সহযোগী জঙ্গিদের লাল গালিচায় স্বাগত জানানোর জন্য মরিয়া, তাতে ভারতের যে উদ্বেগ বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। এবার সেই উদ্বেগকে সামনে রেখেই শিলিগুড়ি করিডোর তথা উত্তর-পূর্বের 8 রাজ্যকে সংযুক্তকারী চিকেন নেক সহ ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করছে নয়া দিল্লি (India Boosts Security At Chicken’s Neck)।

চিকেন নেকে নিরাপত্তা জোরদার করছে ভারত

WION এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সখ্যতাকে সামনে রেখে বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চল বিশেষ করে চিকেন নেকে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত। আপাতত যা খবর, ধুবড়ি, কিষেনগঞ্জ এবং চোপড়ার কাছে বামুনিতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর আউটপোস্টগুলি বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করে তোলা হয়েছে। তাছাড়াও চিক নেকের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে চলেছে নয়া দিল্লি।

বলাই বাহুল্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহুবার ভারতের চিকেন নেক নিয়ে আজব সব মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে। এর আগে গত মার্চে চিন সফরে গিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন নেক নিয়ে নয়া দিল্লিকে খোঁচা দিয়েছিলেন ইউনূস। নিজেদের একেবারে সমুদ্রের অভিভাবক হিসেবে দাবি করতে গিয়ে ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘উত্তর-পূর্ব ভারত একেবারে স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। ওই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার একমাত্র অভিভাবক ঢাকা।’ মাঝেও বেশ কয়েকবার চিকেন নেক নিয়ে নানান মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল ইউনূসকে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, পাকিস্তান ও চিনের সাথে হাত মিলিয়ে ভারতের চিকেন নেক নিয়ে ভয়ানক সব ফন্দি আটছেন ইউনূস। তাই প্রথম থেকেই শিলিগুড়ি করিডোর নিয়ে সতর্ক ভারত।

অবশ্যই পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রচার, পাক সংবাদপত্রের উপর ক্ষিপ্ত পুতিনের দূতাবাস!

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে দেখা মিলেছিল পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার প্রধান হাফিজ সইদের এক ঘনিষ্ঠের। শুধু তাই নয়, শোনা গিয়েছিল পাক জঙ্গিসংগঠনের সহযোগীকে একেবারে জামাই আদর করে স্বাগত জানিয়েছিল বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মৌলবাদী কট্টর ইসলামী সংগঠন। মাঝে এও শোনা যায়, ওই জঙ্গি ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন। অভিজ্ঞ মহলের দাবি, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ছত্র ছায়াতেই সইদ ঘনিষ্ঠকে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল।’ বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের সাথে সাঁট করে ভারতে বড়সড় অশান্তি পাকাতে চাইছে বাংলাদেশ!

Leave a Comment