বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন! দেশটির জাতীয় সংসদ থেকে নির্বাচনী কমিশন আলোচিত 9 মে বিক্ষোভ মামলায় পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের নেতা-নেত্রীদের অযোগ্য ঘোষণার পরেই দলটির 3 শীর্ষস্থানীয় নেতাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা ওমর আয়ুবকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে, পার্লামেন্টারি নেতা ও উপপরিষদীয় নেতার পদে থাকা জারতাজ গুল ও আহমদ চাঠারও তাঁদের পদ হারিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতমাসে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ফয়সালবাদের বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে 9 মে মামলার রায়ের পর PTI সংসদ সদস্যদের মধ্যে একটা বড় অংশকে চিহ্নিত করে। জানা যায়, সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের রায়ে 185 জন আসামীর মধ্যে 108 জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এবং বাকি 77 জনকে মুক্ত করে আদালত। আর এর পরই পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের স্পিকার গোটা বিষয়টি সংসদে ঘোষণা করেন। একই সাথে নতুন বিরোধীদলীয় নেতার নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। এরপরই তড়িঘড়ি ওমর আয়ুবকে বিরোধী দলনেতার পথ থেকে সরানো হয়। পদ হারান আরও বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রী।
অবশ্যই পড়ুন: ট্রেনের টিকিটে মিলবে ২০% ছাড়, উৎসবের মরসুমে রাউন্ড ট্রিপ প্যাকেজ ঘোষণা রেলের
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিষদের বিরোধীদল নেতার পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি ওমরকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির ফাইন্যান্স উপকমিটি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, জাতীয় সংসদ 15টি হাই কমিটির সদস্য পদ তুলে নিয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সাহিবজাদা হামিদ রাজাকেও মানবাধিকার স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পর থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাদ পড়েছেন রাই হাসান নওয়াজও।
সব মিলিয়ে, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে ওমর সহ অন্যান্য নেতাদের পদ হারানোর ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কার্যত উত্তাল পাক রাজনীতি! যদিও শোনা যাচ্ছে, মামলার ঘটনায় পেশোয়ার হাইকোর্ট স্বস্তি পেয়েছেন ওমর ও শিবলি ফরাজ। আদালতটি নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা সংক্রান্ত পদক্ষেপ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে 5 আগস্টের বিজ্ঞপ্তির উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। সেই মর্মে ইসিপি সহ সব পক্ষের কাছে নোটিশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি 20 আগস্ট হওয়ার কথা।