পানীয়র অভাবে মরবে কাঙাল পাকিস্তান! ভারতের পর আফগানিস্তানও বন্ধ করছে জল

Pakistan Water Crisis

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের পর এবার কাঙাল পাকিস্তানকে জব্দ করার জন্য বিরাট ফন্দি আঁটল আফগানিস্তান। হ্যাঁ, এবার তারাও পাকিস্তানে জল সরবরাহ বন্ধ করতে চলেছে। সূত্রের খবর, এবার তালেবান সরকার কুনার নদীর প্রবাহ আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার অঞ্চলের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। আর যদি তা সফল হয়, তাহলে খাইবার পাখতুনখোয়া তীব্র জল সংকটের মুখোমুখি হবে (Pakistan Water Crisis)। এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

উল্লেখ্য, ভারত সিন্ধু নদী চুক্তি বাতিল করাতে এমনিতেই পাকিস্তান জল সংকটে ধুঁকছে। আর এহেন পরিস্থিতিতে যদি আফগানিস্তানও জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে পাকিস্তানের সমস্যা যে আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ইতিমধ্যেই চলছে উত্তেজনা। আর সেক্ষেত্রে নতুন ফ্রন্ট খোলারও সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বৈঠক

আফগানিস্তান টাইমসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক কমিশনের কারিগরি কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ হয়েছে। আর সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কুনার নদীর জল নাঙ্গারহারের দারুন্তা বাঁধে স্থানান্তর করা হবে। যদিও এই সিদ্ধান্ত এখন অর্থনৈতিক কমিশনে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর যদি তা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার অঞ্চলের বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি জলের সমস্যায় পড়বে, এবং খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে তীব্র জল সংকট দেখা যাবে।

আরও পড়ুন: সোনা, রুপোর দাম নিয়ে দুঃসংবাদ! মধ্যবিত্তদের পকেটে ফের বাড়ল চাপ

জানিয়ে রাখি, কুনার নদীর দৈর্ঘ্য মোটামুটি 500 কিলোমিটার। পাকিস্তানের পাখতুনখোয়া প্রদেশের চিত্রাল হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে এর জন্ম। তারপর দক্ষিণ আফগানিস্তানের কুনার এবং নাঙ্গারহার প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কাবুল নদীর সঙ্গে মিশেছে। এদিকে পেচ নদীও কুনারের মধ্যে মিলিত হয়ে পূর্বদিকে বাঁক নিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছে, এবং অবশেষে তা পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক শহরের সিন্ধু নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। এই নদীর প্রবাহ মূলত পাকিস্তানের সবথেকে বেশি। আর এই নদীর জল থেকেই পাকিস্তানের সিংহভাগ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সেক্ষেত্রে যদি জলপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এমনটি পানীয় জল বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জল পাওয়া কঠিন হয়ে উঠবে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, পাকিস্তান আফগানিস্তানের কাছে এক্ষেত্রে কোনও চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। কারণ, ভারতের সঙ্গে যেমন সিন্ধু জল চুক্তি ছিল, আফগানিস্তানের সাথে সেরকম কোনও চুক্তি নেই। এখন সবটাই নির্ভর করছে আফগানিস্তান সরকারের সিদ্ধান্তের পর।

Leave a Comment