সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের শক্তি খাতে এবার বাজিমাত করবে আদানি গ্রুপ। কেন্দ্রীয় সরকার যখন পারমাণবিক শক্তি খাতে প্রসারণে বেসরকারি অংশীদারিত্বের কথা ভাবছে, ঠিক তখনই আদানি গ্রুপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উপযুক্ত নীতি আর পরিকাঠামগত উন্নতি ঘটালে এই সেক্টরে প্রবেশ করা সম্ভব (Adani Group in Nuclear Energy Sector)। এনডিটিভি প্রফিটকে একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি জানিয়েছে আদানি গ্রুপের ফিনান্সিয়াল অফিসার জুগেশিন্দর সিং।
কেন পারমাণবিক শক্তিতে আগ্রহী হচ্ছে আদানি গ্রুপ?
এদিন জুগেশিন্দর সিং জানিয়েছেন, ভারতের দীর্ঘমেয়াদী কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য পারমাণবিক শক্তি সবথেকে বড় ভূমিকা রাখবে। সেই কারণে আদানি গ্রুপ এবার এই খাতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে হ্যাঁ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত নিয়ম এবং পিপিএফ কাঠামো স্পষ্ট করা জরুরী বলেই মনে করেছেন গ্রুপের ফিনান্সিয়াল অফিসার। তিনি আরও জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক যেকোনও ধরনের সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতায় পারমাণবিক প্রকল্প চালু থাকে। ঠিক তেমনই নিরাপদ পরিকাঠামো ভারতে তৈরি হলে আদানি গ্রুপ এবার এই খাতে কাজ করতে প্রস্তুত।
বলাবাহুল্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভারতের পারমাণবিক শক্তি খাত খুব শীঘ্রই বেসরকারি কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হতে পারে। আর বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি যদি হয় তাহলে বেসরকারি বিনিয়োগ অনেকটাই বাড়বে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি এবং দ্রুত সম্প্রসারণ হবে। ফলে পারমাণবিক শক্তি খাত এবার নয়া গতি পাবে।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত হল ২০২৬ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের ছুটির তালিকা! দেখে নিন ঝটপট
পরমাণু শক্তি খাতে ভারতের অবস্থান কোথায়?
জানিয়ে রাখি, বর্তমানে দেশে মোট ২৩টি পারমাণবিক রিয়্যাক্টর রয়েছে। আর এগুলি পরিচালনা করে থাকে এনপিসিআইএল বা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। এই পরমাণু কেন্দ্রগুলির মোট ক্ষমতা ৮.৮ গিগাওয়াট। এদিকে কেন্দ্র সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে এই বিরাট লক্ষ্য পূরণ করার জন্য বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখন দেখার, আদানি গ্রুপ এই খাতে সত্যিই পা রাখতে পারে কিনা।