বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বড়রা পারলেও এশিয়া কাপে (India Vs Pakistan) পাকিস্তানকে বধ করতে পারল না ভারতের ছোটরা। শুরুর দিকে ভারতের কাছে ধাক্কা খেলেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়াকে বিরাট লক্ষ্য দেয় পশ্চিমের দেশের খুদেরা। আশা ছিল হয়তো সেই লক্ষ্য তাড়া করে এশিয়া কাপ দখল করতে পারবে ভারতের ছেলেরা। তবে সময়ের সাথে সাথে সেই আশা হতাশায় পরিণত হলো। পাকিস্তানের ভয়ানক বোলিং আক্রমণের সামনে রুখে দাঁড়িয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারলেন না অয়ুষ মাত্রেরা। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের কাছে হেরে একেবারে নাক কাটা গেল ভারতের।
ভারতকে লাল চোখ দেখিয়েই ফাইনাল পকেটে পুরল পাকিস্তান
রবিবার, টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সেই সূত্রেই বাধ্য হয়ে ব্যাট করতে নামে পাক বাহিনী। তবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি প্রতিপক্ষের। আর সেখান থেকেই একেবারে ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোতে থাকে পশ্চিমের দেশের প্লেয়াররা। এদিন দলের কঠিন সময় মাথা ঠান্ডা রেখে রান করে গিয়েছিলেন সমীর মিনহাস। এই পাকিস্তানি তরুণের ব্যাটের দাপটেই একেবারে কুপোকাত হয়েই পড়েছিল ভারতের বোলিং বিভাগ।
না বললেই নয়, আজ টিম ইন্ডিয়ার বোলারদের বোকা বানিয়ে বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন সমীর। এদিকে পাকিস্তানের সামনে ভারতের বোলারদের একেবারে অসহায় দেখাচ্ছিল। আর সেই অসহায়তার সুযোগ নিয়েই এদিন মাত্র 113 বলে 172 রান তুলে দেন মিনহাস। মূলত 17টি চার এবং 9টি ছয় সহযোগে নিজের ইনিংস একেবারে সাজিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত উইকেট হারাতে হয় তাঁকে। তবে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের জন্য আসল কাজটা করে দিয়ে গিয়েছিলেন সমীর। আর সেই সূত্রেই ভারতকে 348 রানের বড় লক্ষ্য দেয় পাক দল।
অবশ্যই পড়ুন: টাইম নিয়ে চিন্তা শেষ! বদলে গেল ট্রেনের টিকিট কাটার সময়, বিরাট সিদ্ধান্ত রেলের
বলা বাহুল্য, সমীরের পাশাপাশি এদিন যথাক্রমে 56 ও 35 রান তুলেছিলেন আহমেদ হোসেন এবং উসমান খান। পরবর্তীতে পাক দলের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছিল ভারতের। এদিন ওপেনিং করতে নেমে ফের ব্যর্থ হন বৈভব সূর্যবংশী। 10 বল খেলে 26 রান তুলতে পেরেছিলেন বিহারের ভূমিপুত্র। এরপর পাকিস্তানের বিপজ্জনক বোলিংয়ের সামনে যারাই মাথা তুলে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন তাঁদেরই উইকেট দিয়ে ফিরতে হয়েছে। একটা সময় পৌঁছে 23 ওভার 1 বলে 120 রান তুললেও 8 উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। সেখানেই একপ্রকার ম্যাচ হেরে গিয়েছিলেন বৈভবরা। এরপর নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই প্রয়োজনীয় দুই উইকেট তুলে ফাইনালের মঞ্চ থেকে ভারতকে বিদায় দেয় পাকবাহিনী। ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে শেষ মুহূর্তে লড়াই করেও দলের জয়ের কারণ হতে পারলেন না দীপেশ দেবেন্দ্রন।