পুজোর আগেই ঝাড়গ্রামে বাড়ছে নীলকণ্ঠ পাখির আনাগোনা

jhargram Neelkanth Bird

সহেলি মিত্র, কলকাতা: ঝাড়গ্রাম (Jhargram)… ভ্রমণপ্ৰিয় বাঙালির কাছে এক আলাদাই ভালো লাগার জায়গা। হাতে দু একদিনের ছুটি থাকলে আরামে এখন থেকে ঘুরে আসা যায়। এখানে যেমন রয়েছে রঙিন পাহাড়, ঠিক তেমনই রয়েছে একের পর এক জলাধার, পাহাড়, ঝর্ণা ইত্যাদি। তবে এবার ঝাড়গ্রামে থাকা এক নতুন আকর্ষণ সকলকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করছে। আপনিও কি সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।

হু হু করে পর্যটক বাড়ছে ঝাড়গ্রামে

বর্তমানে হু হু করে ঝাড়গ্রামে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। এর বড় কারণ হল নীলকণ্ঠ পাখি। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। পর্যটকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন সেখানে নীলকণ্ঠ পাখির সংখ্যাও বাড়ছে। আসলে ঝাড়গ্রামের মাঠে ও ঝোপঝাড়ে প্রচুর পরিমাণে নীলকণ্ঠ পাখির দেখা পাওয়া যায়। যার টানে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে পর্যটকরা এখানে ছুটে আসেন। এবারেও সেটার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এখন দুর্গাপুজোর আগে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে পর্যটক থেকে শুরু করে ফটোগ্রাফারদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হোটেল ব্যবসায়ীরাও।

নীলকণ্ঠ পাখিতে মজে মানুষ

অনেকেই হয়তো জানেন, আবার অনেকেই হয়তো জানেন না যে বিজয় দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয়। আর এই পাখিকে খুব শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাখিটির পোশাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। নীলকন্ঠ পাখিকে শিবের দূত হিসাবে ভাবা হয়। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই পাখির দেখা পাওয়া শুভ। মনে করা হয় দশমীর দিন মায়ের ঘরে ফেরার বার্তা আগাম গিয়ে দেবাদীদেব মহাদেবকে জানায় এই পাখি। মনে করা হয় শ্রীরামচন্দ্র রাবণ বধের আগে দেখা পেয়েছিলেন এই পাখির। এই পাখির রং নীল হওয়ায় শিবের দূত মনে করা হয়। যাইহোক, এই পাখির সংখ্যা ঝাড়গ্রামে চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুনঃ মহালয়া থেকে আকাশের মুখ ভার, ষষ্ঠী থেকে নবমী ভাসাবে বৃষ্টি? আবহাওয়া আপডেট

নীলকন্ঠ পাখি লম্বায় ২৬-২৭ সেন্টিমিটার, এই পাখির দেহ, লেজ ও ডানায় এক উজ্জ্বল নীল রঙের জৌলুস দেখা যায়। তবে ভারতে এই পাখির যে বিশেষ প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায় তাদের গলার কাছের অংশটি হালকা বাদামি রঙের হয়। যেমনটা আছে ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা ও ফটোগ্রাফার সুশান্ত হোতা বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজয়া দশমীর সময় নীলকণ্ঠ ওড়ানোর রেওয়াজ রয়েছে। জেলার আদিবাসী সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতা এখানে  নীলকণ্ঠ পাখিকে রক্ষা করেছে।’

Leave a Comment