বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দায়িত্ব বাড়ল স্বদেশী ফুটবলার মনবীর সিংয়ের। বাবা হলেন মোহনবাগান তারকা (Mohun Bagan Footballer Becomes Father)। পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেই খবর ঘটা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন মনবীর সিং। জানা যাচ্ছে, গত সোমবার শুভ খবর পান বাগান তারকা। সেই খবর বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে অসমিন এবং মনবীরকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সমর্থকরা।
পুত্র সন্তানের কী নাম রাখলেন মনবীর?
পরিবার যে বড় হচ্ছে, সে খবরটা গত আগস্ট মাসেই স্ত্রী অসমিনের সাথে একগুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন মোহনবাগান তারকা। সেই থেকেই অপেক্ষা বেড়েছিল ভক্তদের। তবে অবশেষে মিটল সেই প্রতীক্ষা। সুপার কাপের ডার্বির পর পরই বাবা হলেন মনবীর। জানা যাচ্ছে, নিজের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই ছেলের নামকরণ করেছেন মোহনবাগান ফুটবলার। পরিচিত দম্পতি তাঁদের পুত্র সন্তানের নাম রেখেছেন জয়বীর।
ইনস্টাগ্রামে নিজেদের সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে ধরে ছবি পোস্ট করেছেন মোহনবাগান তারকা এবং তাঁর স্ত্রী। সেই ছবির ক্যাপশনে স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। আমাদের হৃদয় এখন কল্পনার থেকেও বেশি পূর্ণ। জয়বীর সিং তোমাকে পরিবারে স্বাগত জানাই।’ এই লেখার পাশাপাশি নিজের পুত্র সন্তানের জন্মের তারিখ অর্থাৎ 3 নভেম্বরও ক্যাপশনে যোগ করেছেন মনবীররা। না বললেই নয়, মাস কয়েক আগেই ঠিক একইভাবে পরিবার বড় হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু।
অবশ্যই পড়ুন: বাদ আসল লোক! অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে চতুর্থ T20-তে এমন একাদশ সাজাতে পারে ভারত
View this post on Instagram
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ পেশায় মডেল অসমিন শেখের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েন মোহনবাগানের তারকা স্ট্রাইকার মনবীর। এরপর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার বেঁধেছিলেন সিং। জানা যায়, বিয়ের পর বেশ কয়েকবার মনবীরের ফুটবল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামেও পৌঁছেছিলেন স্ত্রী অসমিন। বেশ কয়েকবার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জাতীয় দলের স্ট্রাইকার বলেছিলেন, ‘আমার সাফল্যের অন্যতম শক্তি আমার স্ত্রী।’ না বললেই নয়, বল পায়ে মাঠে সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না মনবীরের। বারবার চোট আঘাতের সমস্যার মাঝে সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের কাছে আটকে গিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে। আর সেই আবহের মাঝেই পুত্র সন্তানের পৃথিবীর আলো দেখার খবর মোহনবাগান তারকার মনকে দুলিয়ে দিয়েছে তা বলাই যায়।