পুলিশের জালে ওরা! সিঙ্গুরে নার্সিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়

Mysterious Death Of Nurse In Singur

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হুগলির সিঙ্গুরে নার্সিং পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু! তিনদিন আগে উদ্ধার হওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! গ্রেফতার করা হল মৃতার প্রেমিক এবং নার্সিংহোমের মালিককে। নার্সিং পড়ুয়ার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যার দরুন এবার নার্সিংহোমে এবং সিঙ্গুরের বড়া এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি কী?

সিঙ্গুর পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে বেঙ্গালুরু থেকে নার্সিং পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের রায়নগরের বাসিন্দা বছর ২৪ এর দীপালি জানা। এরপর এক বান্ধবীর মাধ্যমে বোড়াই তেমাথা এলাকার ‘শিবম সেবাসদন’ নার্সিংহোমে কাজের সুযোগ পান। কিন্তু গত বুধবার অর্থাৎ ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নার্সিংহোমে তাঁর পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় যে দীপালি গলায় ফাঁস দিয়েছেন। খবর পেয়েই পরিবারের সদস্যরা রাতেই ছুটে আসেন সিঙ্গুরে, কিন্তু তার আগেই পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয়। আর এই ঘটনায় দীপালির বাবা সুকুমার জানা অভিযোগ করেন যে, তাঁদের মেয়েকে নিশ্চয়ই খুন করা হয়েছে। তাঁরা নার্সিংহোমের মালিকের শাস্তির দাবি করেছেন।

গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে!

গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় নার্সিংহোম চত্বরে। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান। পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হতে থাকলে তখনই হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় জানান, এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এদিকে মৃতা দীপালি জানার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমতাবস্থায় সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে নার্সের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, পুলিশের জালে এইমুহুর্তে নার্সিংহোমের মালিক ও দীপালির প্রেমিক। ধৃতদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঁধের টাকা লুঠ! বিধায়ককে ফোন করতেই ভয়ঙ্কর গালিগালাজ, ভাইরাল সাবিত্রী মিত্রর অডিও

সিঙ্গুরের নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় যে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদের মধ্যে রাধাগোবিন্দ ঘটন ছিল মৃতা নার্সের প্রেমিক। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকায়। দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে না করায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই নার্সিং পড়ুয়া, তাই সেক্ষেত্রে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। যদিও এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসেনি। আজ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতার ময়নাতদন্ত করা হবে, তাতেই মিলবে নার্সের মৃত্যুর আসল কারণ।

Leave a Comment