প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রকৃতপ্রেমীদের জন্য বড় সুখবর! এবার পূর্ব কলকাতা জলাভূমি হয়ে উঠবে দক্ষিণের ‘গজলডোবা’! গড়ে তোলা হবে আধুনিক পর্যটনক্ষেত্র। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় বড় উদ্যোগী হতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই এই জলাভূমিকে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্থল হিসেবে সাজিয়ে তুলতে চেয়ে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন।
বড় পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার
দীর্ঘ কয়েক বছর আগে, উত্তরবঙ্গে তিস্তা নদীর বাঁধ লাগোয়া গ্রামকে ঘিরে গজলডোবা পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। যা পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের জন্য অন্যতম গন্তব্যস্থল। আর এবার উত্তরবঙ্গের স্বাদ দক্ষিণবঙ্গে পেতে বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
জানা গিয়েছে, গজলডোবা পর্যটন ক্ষেত্রের স্বরূপ পূর্ব কলকাতা জলাভূমি তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে এই জলাভূমিকে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্থল হিসেবে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন।
কী বলছেন ফিরহাদ হাকিম?
সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন যে, ‘‘জলাভূমি হল কলকাতার সম্পদ। বিরাট জায়গা জুড়ে থাকা পূর্ব কলকাতার এই জলাভূমি শুধু কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার কাজ করে এসেছে।
এবার এই বিরাট জলাশয় কলকাতার দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে। তবে বাম আমলে কলকাতা জলাভূমি অনেকটা দখল হয়ে গিয়েছিল। তখন আমরা কিছু করতে পারিনি কিন্তু এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রকৃতি প্রেমী হওয়ায় পূর্ব কলকাতা জলাভূমি রক্ষা করতে চলেছেন।”
সৌন্দর্যায়নের কাজ নিয়ে বৈঠক!
তবে এই বিরাট জলাভূমি নিয়ে বিরাট প্রকল্পের প্রস্তুতির মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বেআইনি দখল, বসতি, গ্যারাজ, কারখানা ও বহুতলের চাপ। তাই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে এ বার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
সূত্রের খবর, গোটা পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে কীভাবে সৌন্দর্যায়নের কাজ করা যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই বাইরের পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে ৷ কীভাবে এই জলাভূমিতে প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা করার সঙ্গেই পর্যটন কেন্দ্র গড়া যায় সমস্তটা আইনি শর্তানুযায়ী খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জয়ের পরও খুশি নন! তৃতীয় টেস্টের প্রথম একাদশে বড় বদলের ঘোষণা শুভমন গিলের
খরচের যোগান দেবেন ফিরহাদ!
কলকাতা পুরসভার পরিকল্পনা অনুযায়ী জানা গিয়েছে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ও মৎস্য দফতরের আইন মেনেই তৈরি হবে পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি করবে। সেখানে পর্যটকদের জন্য হাউসবোট থেকে শুরু করে, ফিশিং, রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে আরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
আর এই বিরাট প্রকল্পে যে বিপুল পরিমাণ খরচ হবে ৷ সেটাও যোগান দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অর্থাৎ প্রকৃতপ্রেমী পর্যটকদের কাছে কলকাতা আরও এক দ্রষ্টব্য উদাহরণ তুলে ধরতে চলেছে।