সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি শেষ। এবার রায়দানের পালা। এদিকে রায় যদি সরকারি কর্মীদের পক্ষে যায় তাহলে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা সরকারের কাছ থেকে আদায় করা হবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। যাইহোক, এসবের মাঝেই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীদের জন্য রইল বিরাট খবর। অবশেষে বকেয়া DA মামলার অর্ডার কপি সামনে এল।
সামনে এল DA মামলার অর্ডার কপি
নিশ্চয়ই ভাবছেন ডিএ মামলার অর্ডার কপিতে কী লেখা রয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, কপি অনুযায়ী, ডিএ মামলার শুনানি পর্ব পরিপূর্ণভাবে এবং চিরতরে সমাপ্ত হয়েছে। এরপর আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার রিটেন সাবমিশন পেশ করবে, ঠিক তার পরবর্তী ১ সপ্তাহের মধ্যে কর্মচারীদের পক্ষের সাবমিশন পেশ করতে হবে। তারপর চূড়ান্ত রায়দান করবেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র-র বেঞ্চ।
অপরদিকে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, ‘সরকার লিখিত বিবরণ জমা দেয়নি। এবারও আমার মনে হয় সরকার সেটা দেবে না। কারণ সরকার ভালোভাবে বুঝে গিয়েছে এরপর আর লিখিত বার্তা সুপ্রিম কোর্টে দিলেও তাঁরা সেটা মান্যতা দেবে না।’
কবে হবে ডিএ মামলার শুনানি?
এর আগে চূড়ান্ত শুনানির পূর্বে রাজ্যের তরফ থেকে শীর্ষ আদালতে ৬২ পাতার লিখিত জবাব জমা করেছিলেন কবিল সিব্বল। সেই সাবমিশনের মাধ্যমে অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। এই ৬২ পাতায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মূলত দুটি যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথমত রাজ্য সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে আইনত বা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য নয়। এর আগে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনালও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয়নি। এই আবহে রাজ্য নিজের আর্থিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ডিএ নির্ধারণ করতে পারে। যাইহোক, এখন সকলের প্রশ্ন, কবে হবে DA মামলার চূড়ান্ত শুনানি?
সরকারি কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘এটা তো পুজোর আগেও পাওয়া যাবে না, দীপাবলির আগেও পাওয়া যাবে না। কারণ তিন সপ্তাহ আরও সময় লাগবে লিখিত নোটস দেওয়ার জন্য। তারপর বিচারপতিরা বসবেন। দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় কোর্ট ছুটি হয়ে যাবে। দেখা যাক, কবে হয়। এই বছরে পেলেই খুশি হব।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে, সেটা সম্পূর্ণ সুপ্রিম কোর্টের উপর, এখন অপেক্ষা করতে হবে জাজমেন্টের জন্য। জাজমেন্ট কখন দেবেন, সেটা বিচারপতিদের নিজস্ব ব্যাপার। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’