বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আফগানিস্তানের সাথে সংঘাতে (Pakistan Afghanistan War) কার্যত নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা পাকিস্তানের। সীমান্তে একটানা গোলাগুলিতে একাধিক পাকিস্তানি সেনার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এরই মাঝে, আফগানদের ঠেকাতে না পেরে সরাসরি ভারতকে নিশানা করে বসলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ। তাঁর দাবি, ‘প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে ভারত। কাবুল নয়, পাকিস্তানে হামলার সমস্ত ছক কষছে নয়া দিল্লি!’
আফগানিস্তানের হামলার কারণে ভারতকে দায়ী করলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী!
গত শুক্রবার রাত থেকে সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান। তাতে দু পক্ষেরই একাধিক হতাহতের খবর মিলেছে। এদিকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আবহে পশ্চিমের দেশে মূলত পাক সেনার কনভয় এমনকি ছাউনি লক্ষ্য করে জোরালো হামলা চালাচ্ছে তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান। সবমিলিয়ে একেবারে ঘ রে-বাইরে কোনঠাসা অবস্থা ইসলামের দেশের। আর ঠিক সেই আবহে এবার অভিযোগের তীর সরাসরি ভারতের দিকে রাখলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ।
সম্প্রতি জিও নিউজকে দেওয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, ‘কাবুল নয়, প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে নয়া দিল্লি।’ পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বক্তব্য, সম্প্রতি অস্থায়ী ভিত্তিতে 48 ঘন্টার জন্য দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আসিফ সতর্ক করে বলেন, এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ পাকিস্তানে হামলা চালায় তবে প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান কঠিন জবাব দেবে।
এদিন যুদ্ধবিরতি নিয়ে একপ্রকার সন্দেহ প্রকাশ করেই খাজা আসিফ বলেন, ‘আমার সন্দেহ দিল্লি তালেবানকে যুদ্ধের জন্য উসকেছে।’ তিনি একেবারে সতর্কতা দিয়েই বলেন, ‘আফগানিস্তান যদি ফের উত্তেজনা বাড়াতে চায় কিংবা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে তবে পাকিস্তান সামরিক পদক্ষেপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’
অবশ্যই পড়ুন: ‘চেষ্টাটা ছেড়ে দিলেই…’, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরই অবসর? ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বিরাটের
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে একটানা গোলাগুলির পর অবশেষে বুধবার গভীর রাতে দুই দেশের মধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে আগামী 48 ঘন্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসলামাবাদ গতকাল সন্ধ্যা 6টা নাগাদ ঘোষণা করে, ‘আফগানিস্তানের তরফেই নাকি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছিল। তাতে তারা শুধু সায় দিয়েছে।’ মূলত আলোচনার মধ্যে দিয়েই সমস্যার সমাধানের পথও খোলা রেখেছে পাকিস্তান।
এদিকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার জানায়, ‘আমরা আমাদের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছি। তবে যদি পাকিস্তান এই চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে তালিবান চুপ করে থাকবে না…’ বলা বাহুল্য, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের গত কয়েকদিনের সীমান্ত সংঘর্ষে ডজন খানেক সামরিক সদস্য এবং সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।