প্রতি বিধানসভা থেকে দিনে ১০০ জনকে ডাক, SIR শুনানি নিয়ে বড় আপডেট কমিশনের

Election Commission

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বহু তর্ক বিতর্কের পর অবশেষে রাজ্যে শেষ হয়েছে এনুমারেশন পর্ব, অর্থাৎ এককথায় বলা যায় SIR প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শেষ। এবার বাকি খসরা তালিকার, কিন্তু তার আগেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে তুলে ধরলেন। অনুমান করা হচ্ছে নাকি রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ১৯ হাজার ১৫৮ জন। তবে সেই তালিকায় খানিক পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানিয়েছে কমিশন (Election Commission)। এবার ভোটারের শুনানি পদ্ধতি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

বিধানসভাপিছু প্রতিদিন ১০০ ভোটারের শুনানি!

কমিশনের তরফ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছিল যে, SIR শুনানির ক্ষেত্রে প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫০ জন করে ভোটার ডাকা হবে। তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। এরপরই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বৈঠক হয় দীর্ঘক্ষণ। শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, প্রতিদিন বিধানসভাপিছু কমপক্ষে ১০০ জন ভোটারের শুনানি করতে হবে। এবং এই শুনানি করার দায়িত্বে থাকবেন কমিশন নিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা। এর জন্য প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় ১০ জন করে অর্থাৎ, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ২৯৪০ জন করে AERO নিয়োগ করা হবে। তবে আশা করা যাচ্ছে কাজের সুবিধার্থে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তথ্য পুনরায় যাচাই করার দায়িত্ব কার?

শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে কোনও যোগসূত্রই নেই, এমন প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে। তাঁদের সকলকেই SIR শুনানির জন্য ডাকবে কমিশন। এছাড়াও ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ ভোটারের তথ্য নিয়ে ধন্দ কাটছে না কমিশনের। তাই সেই সকল ভোটারদের তথ্য পুনরায় যাচাই করার জন্য BLO-দের পাঠানো হবে। এরপর বিএলও-রা যাঁদের তথ্যে সন্তুষ্ট হবেন না, তাঁদের তালিকা পাঠাবে কমিশনের কাছে। তখনই কমিশন তাঁদের শুনানির জন্য ডাকবে।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ লঞ্চ হচ্ছে SBI YONO 2.0, কী কী সুবিধা মিলবে?

প্রসঙ্গত, এনুমারেশন পর্ব শেষ হতেই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে প্রজিনি ম‌্যাপিংয়ের হার ৫০.১৮ শতাংশ। এবং সেলফ ম্যাপিংয়ের হার ৩৮.৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে রাজ্যে ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন তাঁরা নন-ম্যাপিং তালিকাভুক্ত। তবে পরিসংখ্যানে সামান্য গরমিল হতে পারে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। যদি সেই তালিকায় কোনও অভিযোগ থাকে বা কোনো ত্রুটি থাকে তাহলে সরাসরি কমিশনকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে নোটিস জারি করে একে একে ডাকা হবে শুনানি। এরপর তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে দেখে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে কমিশন। জানা যাচ্ছে সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

Leave a Comment