সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ কয়েকদিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেনজির আক্রমণ শানিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই হাসিমুখে এক ফ্রেমে ধরা দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ (Modi Kalyan)। সেইসঙ্গে দুজনের মধ্যে বেশ কিছু কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন সাংসদ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, মুখ খুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান হুইপের পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েকদিন পর, চারবারের তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আন্তরিকভাবে আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে। জানা গেছে যে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার পাশে আসতে বলেছিলেন, যার জবাবে কল্যাণ হেসেছিলেন। ২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার আন্তরিক আলাপচারিতার ছবিটি রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তাহলে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের? উঠছে প্রশ্ন।
এক ভিডিওতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমরা সবাই দাঁড়িয়েছিলাম, উনি আমাকে নমস্কার করেছিলেন। কথা বললেন, জিজ্ঞাসা করলেন ‘কল্যাণ জি ক্যায়সে হ্যা?’ এরপর ফটো তোলার জন্য স্টেজে চেয়ার সাজানো ছিল। তো আমরা পেছনে ছিলাম, সামনে চেয়ার ছিল প্রধানমন্ত্রী বসবেন বলে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নমস্কার করে আমার দিকে এগিয়ে এলেন। এরপর বলেন সব চেয়ার সরিয়ে দিতে। আমি চেয়ার সরাতে গিয়ে দেখি প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেয়ার সরিয়ে দিয়েছেন। একটা সৌজন্যতা বোধ তো আছে। বিরোধী বলে তো আর সৌজন্যতাবোধ নষ্ট করতে পারি না।
কল্যাণ-মহুয়া তরজা তুঙ্গে
গত সপ্তাহে প্রধান হুইপের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছিলেন যে কীভাবে দলীয় নেতৃত্ব তার অবদানকে উপেক্ষা করেছে এবং তার সহকর্মী দলের লোকসভা সদস্য মহুয়া মৈত্রের দ্বারা অপমানিত হচ্ছেন। সম্প্রতি ফেসবুকে শ্রীরামপুরের সাংসদ লেখেন, ‘২০২৩ সালে, আমি মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম যখন তিনি সংসদে সমালোচনার শিকার ছিলেন — আমি এটি বিশ্বাস থেকে করেছি, বাধ্য হয়ে নয়। আজ, তিনি আমাকে একজন নারীবিদ্বেষী বলে প্রতিদান দিচ্ছেন। আমি একজন এমন ব্যক্তির পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি যার মধ্য স্পষ্টভাবে মৌলিক কৃতজ্ঞতার অভাব রয়েছে। এর বিচার হবে।’